রাজার ৮ উইকেটে সাকিবদের ধসিয়ে দিলেন তামিমরা
ডিপিএলের (ঢাকা প্রিমিয়ার) লিগের শেষ ম্যাচ ডে’তে তামিমের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ব্যাট-বলে দুইয়েই কোনো পাত্তায় পেল না সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় রেহমান রেজাউর রহমান রাজার পেস তোপে স্রেফ ৭১ রানেই গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। রাজা একাই নিয়েছেন ৮ উইকেট। এতে ১৯৯ রানের বিশাল ব্যবধানের জয় নিয়ে ডিপিএলের এবারের মৌসুম শেষ করলো প্রাইম ব্যাংক।
৬ ওভার ৩ বলে স্রেফ ২৩ রান খরচ করে ৮ ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা মাপান রাজা। যা দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেরার বোলিং পরিসংখ্যান। এর আগে ২০১৮ সালে গাজী গ্রুপের হয়ে ৮ ওভার ১ বলে ৪০ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। এবার তাকে সরিয়ে সবার ওপরে প্রাইম ব্যাংকের রাজা।
নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হাসান মাহমুদের পেস তোপে দলীয় ১৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। এরপরই শুরু হয় রাজার পেস তোপ। ০ রানে সাকিবের উইকেটসহ ইনিংসের বাকি ৮ উইকেট একাই তোলেন এই ডানহাতি পেসার। ২১ ওভার ৩ বলে নিজেদের স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৭১ রান তোলে শেখ জামাল। সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইয়াসির আলী।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। ২৫ বলে ২২ রান করে ফেরেন তামিম। এতেই আসর শেষে ব্যাট হাতে ১৬ ম্যাচে তার মোট সংগ্রহ দাঁড়াল ৫৩৯ রান। ৮০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে গড় ৩৩ দশমিক ৬৯। সেখানে কোনো সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও ফিফটি হাঁকিয়েছেন ছয়টি।
শুরুর দুই ওপেনার ব্যর্থ হলেও তৃতীয় উইকেটে জাকির হাসানকে নিয়ে ১৩৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচেই ১৫৮ রানের নান্দদিক ইনিংসের পর এ ম্যাচেও দারুণ ছন্দে ছিলেন জাকির। দলীয় ১৮২ রানের মাথায় ফেরেন সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। এর আগে ব্যাট হাতে করেন ৯৫ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৫ রান।
পরে মুশফিক এক প্রান্ত আগলে রাখলেও আরেক প্রান্তে ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। দলীয় ২৩১ রানের মাথায় ৭৮ রান করে ফেরেন মুশফিক। পরে হাসান মাহমুদের ২২ এবং নাজমুল অপুর ৭ বলে ১৫ রানের ক্যামিওতে ২৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে পৌঁছে যায় তামিম-মুশফিকদের দল।
সেখানে শেখ জামালের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সাকিব, আরিফ, শফিকুল ও তৈবুর।
এই জয়ে প্রথম পর্ব ও সুপার লিগ মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করলো প্রাইম ব্যাংক। এদিকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে শেখ জামাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ২৭০/১০ (৫০ ওভার) (জাকির ৮৫, মুশফিক ৭৮; শফিকুল ২/৩৯, সাকিব ২/৪২)
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৭১/১০ (২১.৩ ওভার) (ইয়াসির ১৬; রাজা ৮/২৩, হাসান ২/২৪)
ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ১৯৯ রানের জয়ী
ম্যাচসেরা: রেজাউর রহমান রাজা