১৪ ওভারে ১২৫ রান চাই বাংলাদেশের
সিলেটে এমনিতেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। তার ওপর আজ সকাল থেকেই আকাশে ঘন মেঘের উড়াউড়ি। এমন কন্ডিশনে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা ভারত রানের চাকা সচল রাখায় মনোযোগ দিয়েছে। ম্যাচের ৫.৫ ওভারে শুরু হয় বৃষ্টি। ভারতের সংগ্রহ তখন ২ উইকেট ৪৮ রান। এরপর যতক্ষণে বৃষ্টি থেমে খেলা মাঠে গড়িয়েছে ততক্ষণে ম্যাচের পরিধি কমে নেমে এসেছে ১৪ ওভারে।
স্বাভাবিকভাবেই তাই দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হতে হয়েছে ভারতকে। উইকেটে এসে প্রথম বল থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয় ভারত। স্মৃতি মান্ধানা ফিরলেও দলকে বিপদে পড়তে দেননি হরমনপ্রীত ও রিচা ঘোষরা। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ পাইয়ে দিয়েছেন দু’জনে। ভারতের পুঁজি ৬ উইকেটে ১২৩। তবে বৃষ্টির কারণে মাঝে ওভার কমে আসায় সেই টার্গেটটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫-এ।
অথচ আগের তিন ম্যাচে হারা বাংলাদেশ এদিন ঘুরে দাঁড়াতে একাদশে পরিবর্তন এনেছিল চারটি। অভিষেক করানো হয়েছে ১৪ বছরের কিশোরী হাবিবা ইসলাম পিংকির। তবে সেই অভিষেকটা বোলিংয়ে রাঙিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। ২ ওভারে খরচ করেছেন ২০ রান। থেকেছেন উইকেট শূন্য। তার মতোই এদিন খরচ করেছে বাকিরাও।
বাংলাদেশি বোলারদের খরুচে দিনে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। আগ্রাসী ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরানো গিয়েছিল মাত্র ২ রানেই। তবে সেই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি হেমলতা। ১৪ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে গড়ে দিয়ে যান ভিত। সেই ভিতে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। মাঝে স্মৃতির ২২ রানের পর রিচা করে গেছেন ১৫ বলে ২৪ রান। আর অধিনায়ক হরমনপ্রীত করেছেন ২৬ বলে ৩৯ রান। তাতে ৬ উইকেটে ২২ রানের পুঁজি পায় ভারত।
এর আগে, সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের কোনোটিতেই ভারতের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি জ্যোতির দল। প্রথম ম্যাচে হেরেছে ৪৪ রানের ব্যবধানে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ভারত পেয়েছে ১৯ রানের জয়। সিরিজ বাঁচানোর তৃতীয় ম্যাচে এসে বাংলাদেশের ১১৮ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে ভারত। বাংলাদেশে জন্য তাই এ ম্যাচে জয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজে ব্যবধান কমানোর।