সূর্যকুমারের সেঞ্চুরিতে দাপুটে জয় মুম্বাইয়ের
সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে চড়ে ১৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে মুম্বাই। ৫১ বলে সেঞ্চুরি আদায় করে শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে একাই ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এই জয়ের মাধ্যমে কাগজে-কলমে এখনও আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
চলতি আইপিএলে মুম্বাইয়ের পারফরম্যান্স শুরু থেকেই আশানুরূপ ছিল না। এরপর একের পর এক ম্যাচ হারের ফলস্বরূপ পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকেই বিচরণ করছে তারা। তবে এবারর আসরের অন্যতম ফেভারিট এবং দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হায়দরাবাদকে হারিয়ে দিল হার্দিকের দল।
টসে জিতে এদিন শুরুতে হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। মুম্বাইয়ের বোলারদের নৈপুণ্যে এই ম্যাচে হায়দরাবাদের কেউই নিজের ইনিংসকে বিধ্বংসী রূপ দিতে পারেনি। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ১৭৩ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। পাওয়ার-প্লেতেই সাজঘরে ফেরত যান মুম্বাইয়ের প্রথম তিনজন ব্যাটার। এরপর ব্যাট হাতে সূর্যকুমার মাঠে নেমে যেন চলতি আইপিএলে নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাই দেখালেন। দলের প্রয়োজনে গর্জে উঠল তার ব্যাট। তিলক বর্মাকে সাথে নিয়ে ঝোড়ো এক ইনিংস খেলার মাধ্যমে ১৮তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই।
এই জয়ের পর ১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্টের সঙ্গে তালিকার নবম স্থানে আছে রোহিত-হার্দিকদের দল। কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে মুম্বাইয়ের, তবে তা খুব কঠিন। অপরদিকে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্টের সঙ্গে চারে আছে হায়দরাবাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
হায়দরাবাদঃ ১৭৩/৮ (২০ ওভার); হেড ৪৮, কামিন্স ৩৫*; হার্দিক ৩-৩১, পীযুশ ৩-৩৩।
মুম্বাইঃ ১৭৪/৩ (১৭.২ ওভার); সূর্যকুমার ১০২*, তিলক ৩৭*; ভুবনেশ্বর ১-২২, কামিন্স ১-৩৫।
ফলাফলঃ মুম্বাই ৭ উইকেটে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ সূর্যকুমার যাদব।