সিরিজ জেতার ম্যাচে কেমন একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ২-০ জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে এই হচ্ছে সিরিজের স্কোরলাইন। জিম্বাবুয়ে আছে সিরিজ হারের শঙ্কায়, আর বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের দুয়ারে। আজ জিতলেই পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ বাংলাদেশ জিতে যাবে দুই ম্যাচ হাতে রেখে।
চট্টগ্রামের সাগরিকায় আজ দলের প্রথম লক্ষ্য তাই। সিরিজ শুরুর আগে বিষয়টা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বলেছিলেন, ‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখব কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, তা–ও নয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলব না। আমি বলব সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।’
কাল কোচ নিক পথাসের কথাতেও মিলল একই সুর। বাংলাদেশের সহকারী কোচ বললেন, ‘যখনই আপনি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলবেন, প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে, সেই সিরিজটা জেতা। ওই দায়িত্বটা সবার আগে ঠিকঠাক পালন করতে হবে। এরপর আপনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন। সুতরাং আমরা ঠিক তা-ই করেছি, যেটা এই উইকেটে জয়ের জন্য আমাদের করণীয় ছিল।’
শুরুর ম্যাচগুলোয় বোলিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠার উপায় নেই। বোলারদের প্রায় সবাই তাদের ভূমিকায় উতরে যাবেন নিদেনপক্ষে পাসমার্ক নিয়ে। দুশ্চিন্তার জায়গাটা ব্যাটিং। ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডারের আগ পর্যন্ত ছন্দে নেই কেউই। রান পাচ্ছেন বটে, কিন্তু স্ট্রাইক রেটটা টি-টোয়েন্টির জন্য বেশ বেমানান।
যদিও সেখানে ব্যাট করা লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তদের ওপর অগাধ আস্থার কথাই ম্যাচের আগে জানালেন সহকারী কোচ। বললেন, ‘লিটন দারুণ একটা বিশ্বকাপ কাটানো থেকে স্রেফ একটা বড় ইনিংসের দূরত্বে আছে। শান্তর স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলাটা অপ্রাসঙ্গিক, কারণ সে বড় ইনিংস খেললে তার স্ট্রাইক রেট আকাশ ছুঁয়ে যাবে।’
কোচের এই কথা থেকে নিশ্চিত, এই জায়গায় বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। তার ওপর যোগ করুন কোচ অধিনায়কের সিরিজ জয়ের অভিপ্রায়কে। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বটে, কিন্তু এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পথে হাঁটার মতো সাহস টিম ম্যানেজমেন্টে আসেনি। ফলে দলেও কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
আজও তাই বাংলাদেশ নামতে পারে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই যেখানে ওপেন করবেন তানজিদ তামিম আর লিটন দাস। তারপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আসবেন উইকেটে। এরপর একে একে তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদি আর সাইফউদ্দিন… মিডল থেকে লোয়ার মিডল অর্ডার গড়া হবে এভাবে। পেস আক্রমণে থাকবেন শরিফুল ইসলাম আর তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ–
তানজিদ তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদি, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।