হৃদয়-জাকেরে মুগ্ধতা, জিম্বাবুয়ের সামনে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জ

হৃদয়-জাকেরে মুগ্ধতা, জিম্বাবুয়ের সামনে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের অর্ধেকটা তখন শেষ। বাংলাদেশের পুঁজি ৩ উইকেটে ৬৩ রান। বড় সংগ্রহের ভিত গড়ার স্বপ্ন ওখানেই শেষ। এরপর বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট পাইয়ে দিতে দায়িত্ব নেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। এই দুই তরুণের কাঁধে তখন বড় দায়িত্ব। সেই দায়িত্বটা ভালোভাবেই সামলেছেন দু’জনে। দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে পাইয়ে দিয়েছেন ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। এখন বাকি কাজটুকু করতে হবে বোলারদের।

আগের দুই ম্যাচে টসে জিতে পরে ব্যাট করা বাংলাদেশকে এদিন প্রতিপক্ষের সিদ্ধান্তে ব্যাট করতে হয়েছে শুরুতেই। সেই শুরুটা রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন কুমার দাস বের হতে পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে। দায়িত্ব নিতে তো ভুলেই গেছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। ৪.৪ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেই বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪২।

এদিন লিটন-শান্ত ফেরার পর তানজিদ তামিম ছিলেন উইকেটে। তাকে নিয়েই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। চলতি সিরিজে অভিষেক ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার ফিরতে শুরু করেছিলেন চেনা ছন্দেও। হাঁকাচ্ছিলেন ছক্কা। তাতে বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। তবে সেই স্বপ্ন ভাঙতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ডট বলে রানের চেয়ে বল বেশি খেলে ২২ বলে ২১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছেন। বড় সংগ্রহের পথে বড়সড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে কত দূর টেনে নিতে পারবেন হৃদয়-জাকেররা সেদিকেই তাকিয়ে ছিল সমর্থকরা। শুরুতে রয়েসয়ে চাপ কাটালেও সময়ের সঙ্গে আগ্রাসী হয়ে উঠছিলেন দু’জনে। তাতে বড় সংগ্রহ না হলেও চ্যালেঞ্জিং একটা পুঁজির ভিত পায় বাংলাদেশ। এরপর ১৯ তম ওভারে এসে ফিরে যান দারুণ ছন্দে থাকা তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। ফেরার আগে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৭ রান যোগ করেছেন দু’জনে। যেখানে হৃদয় করেছেন ৩৮ বলে ৫৭ রান। অন্যদিকে জাকের ৩৪ বলে ৪৪ রান। শেষ ওভারে বাংলাদেশকে দেড়শ পার করার দায়িত্ব পড়ে মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদের কাঁধে। সেই দায়িত্ব তারা পালনও করেছেন। বাংলাদেশের পুঁজি ৫ উইকেটে ১৬৫।

সম্পর্কিত খবর