দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
শেষ ১০ ওভারে ১০২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহটা গিয়ে ঠেকেছে ৫ উইকেটে ১৬৫-তে। ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া জিম্বাবুয়ের জন্য যা যথেষ্টই বলা চলে। কেনান, আগের দুই ম্যাচের একটিতেও যে ১৪০ রানও তুলতে পারেনি দলটি। ম্যাচটা তাই বাংলাদেশ নিজের করে নিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। এরপরও জিম্বাবুয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিল। নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি তারা। হেরেছে ৯ রানের ব্যবধানে।
চট্টগ্রামে এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে লক্ষ্য তাড়া কারার সাহস দেখানো জিম্বাবুয়ে একটা কিছু করে ফেলতে পারে এমন শঙ্কা ছিলই। তাছাড়া লক্ষ্যটাও যে আহামরি নয়। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য সেই লক্ষ্যটাই পাহাড়সম হয়ে দাঁড়ায় আগের দুই ম্যাচের মতো দলটির ব্যাটাররা একই পথে হাঁটলে। পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের।
এরপরও শুরুর ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়েই ছিল দলটি। বাংলাদেশ যেখানে তুলেছিল ৬৩ রান; সেখানে জিম্বাবুয়ে তুলে ৬৫। যদিও বাংলাদেশের চেয়ে ১ উইকেট বেশি হারায় দলটি। এরপর পরের ৮ রান যোগ করতেই ২ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরায় বাংলাদেশ। ম্যাচ এক রকম নিজেদের দিকে টেনে আনে।
এরপর উইকেটে এসে আগ্রাসী হয়ে উঠেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। আগের ম্যাচে ঝড়ো ইনিংস খেলা ক্যাম্পবেল এদিনও তাণ্ডব চালানো শুরু করেন। তাতে পুনরায় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই স্বপ্ন ভেঙে দেন একাদশে সুযোগ পাওয়া তানভীর ইসলাম। ফেরার ১০ বলে ২১ রান করা আগ্রাসী ক্যাম্পবেলকে। ধরা হচ্ছিল জিম্বাবুয়ের স্বপ্ন শেষ ওখানেই। তবে না, আরও একবার ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ফারাজ আকরাম ব্যাট হাতে বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন।
লড়াই চালিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শেষ দুই ওভারে লক্ষ্যটা নেমে আসে ২৭ রানে। তবে ১৯ তম ওভারে দলকে ম্যাচে ফেরান তাসকিন। খরচ করেন মাত্র ৬ রান। শেষ ওভারে ২১ রান করতে হতো জিম্বাবুয়েকে। এদিকে স্লো ওভার রেটের কারণে বাউন্ডারি লাইন থেকে ১ ফিল্ডার কমিয়ে আনতে হয় অধিনায়ক শান্তকে। বোলিংয়ে আসা সাইফ উদ্দিনের জন্য লক্ষ্যটা খানিক কঠিকই হয়ে যায় তাতে। তবে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। এরপরও লড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পরের দুই বলেই হাঁকায় ২টি চার। তবে পরের তিন বলে আর পেরে উঠেনি তারা। জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমেছে ১৫৬ রানে।
এর আগে, চট্টগ্রামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ তে নিশ্চিত করার ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আনে দুটি। শরিফুল ও শেখ মাহেদীকে বিশ্রাম দিয়ে সুযোগ করে দেওয়া হয় তানজিম হাসান সাকিব ও তানভীর ইসলামকে। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়নি ভালো। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত। লিটন ফিরেছেন ১৫ বলে ১২ রান করে।
অন্যদিকে শান্ত করেছেন ৪ বলে ৬ রান। আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম ২২ বলে করেন ২১ রান। তাতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ায় টান পড়ে বাংলাদেশের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়ে আসেন দু’জনে। হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৫৭ রান। অন্যদিকে জাকের ৩৪ বলে ৪৪ রান করেছেন।