রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল দিল্লি
আইপিএলে জমে উঠেছে প্লে-অফের লড়াই। তালিকার শীর্ষ দুই দলের পয়েন্ট ১৬, পরের চার দলের সমান ১২। এমন সমীকরণ অবশ্য তৈরি হয়েছে গত রাতের রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালের মধ্যকার ম্যাচের পর। ম্যাচটিতে নামার আগে জয় তুলে আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ ছিল রাজস্থানের সামনে। এদিকে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকতে থাকতে হলে দিল্লির সমীকরণও স্রেফ জয়। সেখানে ভাগ্য ঝুলল দিল্লির দিকে। এতে ২০ রানের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রিশাভ পান্তের দল।
আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে ছিল রাজস্থান। শুরুর ৯ ম্যাচে কেবল একটিতে হেরেছিল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়নস। তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে নিজেদের প্লে-অফ নিয়ে যেতে আরও খানিকটা অপেক্ষায় থাকতে হবে সঞ্জু স্যামসনের দলটিকে।
দিল্লির মাঠে গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে আগে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দিল্লি।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। শুরুর পরে চার মেরে পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় যশস্বী জয়সওয়ালকে। তবে জশ বাটলারকে নিয়ে সেই চাপ সামলে পাওয়ার প্লেতে ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন স্যামসন। ৫ ওভার ৪ বলেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ৬৭ রান। তবে এরপরের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন বাটলার।
পরে রিয়ান পরাগ ২৭ রান ও শুভাম দুবে ২২ রান করে স্যামসনের কিছুটা সঙ্গ দিলে অপরপ্রান্তে রানের গতি সচল রাখেন রাজস্থানের অধিনায়ক। তবে দলীয় ১৬২ রানের মাথায় শাই হোপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন স্যামসনের। সেখানেও যেন জয়ের স্বপ্নে বড় ধাক্কাটা খায় সফরকারীরা। ৪৬ বলে ৮৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেরেন স্যামসন। সেখান থেকে আরও কেউই ধরতে পারেনি ম্যাচের হার। ২০ ওভার ৮ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ২০১ রান তোলে রাজস্থান। দিল্লির হয়ে সেখানে দুটি করে উইকেট নেন মুকেশ, খলিল ও কুলদীপ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই অপেনা জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের তাণ্ডবে ঝোড়ো শুরু পায় দিল্লির। ৪ ওভারেই দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৯। সেখানে ১৯ বলেই ফিফটি তুলে নেয় এই অজি তরুণ। ততক্ষণে আরেক ওপেনার অভিষেক পোরেলের ব্যাট থেকে আসে কেবল ৯ রান। ফিফটি তুলেই অবশ্য ফিরতে হয় ম্যাগার্ককে। দলীয় ৬০ রানের মাথায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ফেরেন তিনি। তিনে নামা শাই হোপ ফেরেন পরের ওভারেই। পরে রানের গতি সামলান পোরেল। তার ৩৬ বলে ৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর শেষ দিকে প্রোটিয়া ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবসের ৪১ রানে চড়ে ২২১ রানের বিশাল লক্ষ্যে পৌঁছায় দিল্লি। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন অশ্বিন।
এই হারের পর লম্বা সময় ধরে শীর্ষে থাকা রাজস্থান তালিকার দুইয়ে নিজেদের জায়গা করলো পোক্ত। এদিকে জয়ে ফিরে তালিকার পাঁচে উঠে এলো দিল্লি।