সিরিজের আগের দুই ম্যাচে আগে বোলিংয়ের পর গতকালের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সেখানে ইনিংসের শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হলেও ইনিংস মাঝ থেকে শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর নৈপুণ্যে ১৬৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। পরে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ১৫ ওভার পর্যন্তও ম্যাচ ছিল শান্ত-তাসকিনদের দখলে। ১৪ ওভার ১ বলে ৯১ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে শেষ দিকে এসে বোলারদের খেই হারানো পারফর্ম এবং টেল-এন্ডার ফারাজ আকরামের ক্যামিওতে এক সময় মনে হচ্ছিল হোঁচটা এই বুঝি খেয়েই বসল স্বাগতিকরা। 

অবশ্য শেষ পর্যন্ত ৯ রানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। আর এতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। 

শেষ ৩৫ বলে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৭৫ রান। সেখান থেকে ১৭তম ওভারে এসে ১৮ রান দিয়ে বসেন সাইফ উদ্দিন। এতে শেষ ১৮ বলে সমীকরণ চলে আসে ৩৬ রানের। হাতে তখনও ২ উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্যটা ঝুলতে ঝুলতে পড়ে বাংলাদেশের ঝুলিতেই। তবে ১৯ বলে ৩৪ রানের ফারাজের ইনিংসটি ভালোভাবেই ভুগিয়েছে স্বাগতিকদের। 

শুরুতে দাপুটে বোলিংয়ের পর শেষ দিকে এসে বোলাররা এমন পারফর্ম চিন্তায় ফেলেছিল অধিনায়ক শান্তকেও। সহসাই স্বীকার করলেন শেষে এসে ভালো বোলিং করেনি তার দল, বিশেষ করে ডেথ ওভারগুলোতে, শেষ পাঁচ ওভারে। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পরিকল্পনাগুলো (ডেথ ওভারে) বাস্তবায়ন করা দরকার। আমরা শেষ পাঁচ ওভারে ভালো বোলিং করিনি। এই জায়গায় আমাদের উন্নতি দরকার। আশা করি, পরের ম্যাচেই শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’

তবে এদিন ব্যাটারদের পারফর্মে সন্তুষ্ট অধিনায়ক শান্ত। বিশেষ করে হৃদয় ও জাকেরের দৃঢ়তার প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি।