স্যামসনকেই ভারতের এক নম্বর উইকেটরক্ষক দেখছেন সাঙ্গাকারা

স্যামসনকেই ভারতের এক নম্বর উইকেটরক্ষক দেখছেন সাঙ্গাকারা

তার অধীনে রাজস্থান রয়্যালস আছে উড়ন্ত ফর্মে। সাঞ্জু স্যামসন নিজেও জায়গা পেয়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে। এবার রাজস্থান রয়্যালসের টিম ডিরেক্টর কুমার সাঙ্গাকারা জানালেন, ভারতের প্রধান উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপের একাদশে থাকার জন্য যথেষ্ট পারফর্ম করেছেন স্যামসন। 

ভারতের স্কোয়াডে আছেন উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তও। ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে এখন তিনি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন খেলার মাঠও। এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক তিনি।

গত মঙ্গলবার দুই উইকেটরক্ষকের দেখা হয়ে গিয়েছিল আইপিএলে। সাঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস মুখোমুখি হয়েছিল ঋষভ পান্তের দিল্লি ক্যাপিটালসের। সে ম্যাচে শেষ হাসিটা হেসেছে দিল্লি, জিতেছে ২০ রানে। তবে ম্যাচে ৪৬ বলে ৮৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন স্যামসন। চলতি মৌসুমে এটি ছিল তার পঞ্চম ফিফটি। ৪৭১ রান নিয়ে তিনি ভালোভাবেই আছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে। 

ম্যাচটা যেহেতু ছিল পান্ত আর স্যামসনের দলের, সংবাদ সম্মেলনে তাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসাটাও অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। রাজস্থানের টিম ডিরেক্টর সাঙ্গাকারা জবাবে বললেন, ‘এটা আসলেই রাহুল দ্রাবিড় আর রোহিত শর্মার বিষয়, তারা কেমন দল দেখতে চায় তার ওপর নির্ভর করছে বিষয়টা।’

তবে এখন পর্যন্ত যেমন খেলেছেন, তাতে বিশ্বকাপের একাদশে জায়গা করে নেওয়ার মতো যথেষ্ট পারফর্ম করেই ফেলেছেন তিনি, অভিমত সাঙ্গাকারার। তিনি বলেন, ‘তবে সে যথেষ্ট করে ফেলেছে। আশা করছি বিশ্বকাপেও সে ভালোই পারফর্ম করবে।’

এবারের আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করছেন তিনি। তার দলও ১১ ম্যাচের ৮টিতে জিতে প্লে অফের দুয়ারে চলে গেছে। তিনি নিজে আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে আছেন বিরাট কোহলি (৫৪২) দুইয়ে আছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৪১)।

ওদিকে ঋষভ পান্তও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। ১২ ম্যাচে ৪১৩ রান নিয়ে তিনিও আছেন সেরা দশে। 

তবে দুজনের ভেতর স্যামসনকেই এগিয়ে রাখলেন সাবেক লঙ্কান উইকেটরক্ষক। তিনি বলেন, ‘এই মৌসুমে সাঞ্জুর সবচেয়ে বড় বিষয়টা হচ্ছে সে জানে কীভাবে তাকে ব্যাট করতে হবে, এবং এই বিষয়ে সে দারুণ পরিষ্কার ধারণা রাখে। খেলার বিভিন্ন সময়ে তার মনোযোগ চলে যেত, শেষ কয়েক মৌসুমে আমরা বিষয়টা ধরতে পেরেছি। এখন সে বিশ্রাম ও রিকভারির বিষয়ে তার মানসিকতাকে বদলে ফেলেছে, সে এখন আর সারাক্ষণ অনুশীলন করে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত করে ফেলে না। সে একজন বিশেষ খেলোয়াড়। যখন সে বেশ ফ্রেশ ও মনোযোগী, তখন এমন কোনো কাজ নেই যা সে করতে পারে না।’

সম্পর্কিত খবর