আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ না খেলার ঘোষণা ইংল্যান্ডের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ না খেলার ঘোষণা ইংল্যান্ডের

আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসার পর নারীদের ব্যাপারে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালেবানরা। সেই নিয়মের বলি হয়েছেন দেশটির নারী ক্রিকেটাররা। ২০২১ সালে বন্ধ হয়ে গেছে দেশটিতে নারীদের ক্রিকেট। তালেবান শাসকদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ স্বরূপ আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এবার ইংল্যান্ডও হাঁটল একই পথে। স্রেফ জানিয়ে দিয়েছে দেশটিতে নারী ক্রিকেট না ফিরলে আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করবে না তারা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সিইও রিচার্ড গোল্ড জানিয়েছেন এমনটিই।

গোল্ড বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য আমাদের কোনো ক্রিকেটসূচি নির্ধারিত নেই। আর তাছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য আমরা সময়সূচী করতেও চাই না।’

মহিলা ক্রিকেটের প্রতি আফগানিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড, জানিয়ে গোল্ড বলেন, ‘যখন তালেবানরা আবার আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে, তখন তারা ক্রিকেটসহ নারীদের অনেক কিছু করা বন্ধ করে দেয়। সেই মুহূর্তে, দলের অনেকেই আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের বেশিরভাগই এখন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে। আইসিসি ও অন্যান্য দলগুলোর কাছে নারী ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে লবিং করছে।’

সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোনো সিরিজ না খেললেও নিয়মিতই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে। যা নিয়ে গোল্ড বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যা সিএর নিয়ন্ত্রণের অধীনে। অন্যদিকে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট আইসিসি ইভেন্ট এবং তাদের প্রবিধান সাপেক্ষে হয়।’

আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট ফেরাতে আইসিসির ভূমিকা নিয়ে গোল্ড জানান, ‘আইসিসির দৃষ্টিভঙ্গি হল, তারা একটি দেশের সরকারের নীতিতে প্রভাব ফেলতে সক্ষম নয়। এর ফলস্বরূপ, কিছু দেশ একতরফা পদক্ষেপ নেয়। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা বোঝার জন্য আমরা অন্যান্য সদস্য দেশগুলির সাথে আইসিসি স্তরে আলোচনা করছি।’

সম্পর্কিত খবর