হার থেকে শিক্ষা নিতে চায় পাকিস্তান
ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস– ক্রিকেট খেলায় এই লাইনটি অনেক ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুক্রবার পাকিস্তান এই বিষয়টি হাতেকলমেই দেখতে পেলো, সঙ্গে দেখলো পুরো বিশ্ব।
বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের জন্য ছিল এক হতাশার রাত। টসে জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে বেশ বড়সড় ধাক্কা খেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানের বোলাররা। ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শের রেকর্ড পরিমাণ দুইশো ছাড়ানো জুটি যেভাবে রান তুলছিলো, তাতে মনেই হচ্ছিল প্রোটিয়াদের করা দলগত সর্বোচ্চ ৪২৮ রানকেও বুঝি ছাড়িয়ে যাবে অজিরা।
ম্যাচের শেষার্ধে তুলনামূলক ভালো বোলিং করে শেষ পর্যন্ত তা হতে না দিলেও দুইটি সেঞ্চুরি হজম করে ৩৬৮ রানের পাহাড় সমান টার্গেট পায় পাকিস্তান। জবাবে শুরুটা ভালোই করে শফিক-ইমাম জুটি। কিন্তু মিডল অর্ডারের আশানুরূপ ব্যাটিং না করায় নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৪৬তম ওভারে ৩০৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
বেঙ্গালুরুর মাঠের আকার ছোট, উইকেটও ব্যাট করার জন্যই আদর্শ। রান অনেক উঠবে এটা আশানুরূপ ছিলো। কিন্তু যে ওয়ার্নার ১২৪ বলে ১৬৩ রানের ঝড় বইয়ে দলকে এতবড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন, তিনি ১০ রান থাকা অবস্থাতেই সাজঘরে ফিরে যেতেন যদি না ৫ম ওভারে উসামা মির ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচটি হাতছাড়া না করতেন। এরপর ১০৫ রান থাকাকালীন উসামার ওভারে আরেকবার ক্যাচ মিস হওয়ার ফলে ম্যাচে দ্বিতীয়বার আউট হওয়া থেকে বেঁচে যায় ওয়ার্নার। এছাড়াও স্টিভেন স্মিথের একটি ক্যাচও মিস করে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
সহজ ক্যাচ ফসকে যাওয়াকেই ম্যাচ হারের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। দলের হয়ে কথা বলতে এসে এই ক্যাচ মিস প্রসঙ্গে শফিক বলেন, “ক্যাচ ফসকানো অবশ্যই ম্যাচ বদলে দিয়েছে। আমরা উইকেট পেলে মোমেন্টামও পেতাম। ফিল্ডাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।”
মিডল অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপের সুর প্রকাশ পায় তাঁর কথায়। “অস্ট্রেলিয়া ভালো খেলেছে। আমাদের ব্যাটিংও ভালো ছিল তবে মাঝের ওভারে আমরা যথাযথ রান করতে পারিনি।“
ম্যাচের চিত্র আরও ভিন্ন হতে পারতো যদি না তারা এই ভুলগুলো না করতেন। এই হার তাদেরকে শিক্ষা দেবে। এই শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন এমনটাই বিশ্বাস করে শফিক বলেন, “আশা করছি ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারব এবং পরের ম্যাচগুলোতে পারফর্ম করব।“