আইপিএল নিয়ে আক্ষেপ নেই তাসকিনের
শেষ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার পেসাররা। তার ফল হিসেবেই সবাই ডাক পাচ্ছেন দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। তবে মুস্তাফিজুর রহমান বাদে বাকি সবাইকেই আটকে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’এর দোহাই দিয়ে। যদিও তাসকিন আহমেদ একে দেখলেন ইতিবাচক দৃষ্টিতেই।
চলমান আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বল হাতে সবচেয়ে ভালো পারফর্মারদের একজন। গত ১ মে তিনি শেষ ম্যাচ খেলেছেন। তার আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন শীর্ষ উইকেট শিকারীর পুরস্কার পার্পল ক্যাপের দৌড়ে।
তবে মুস্তাফিজের মতো তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলামও থাকতে পারতেন এই তালিকায়। এবারের আইপিএলে খেলার সুযোগ বাকি দুজনের কাছেও এসেছিল। তাসকিন আহমেদের নামই আইপিএলে দিতে দেয়নি বিসিবি। কারণ ওই ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’। এরপর শরিফুল ইসলামের কাছে এসেছিল লখনৌ সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলার প্রস্তাব। তবে তিনিও শেষমেশ এনওসি পাননি বিসিবি থেকে।
তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম এনওসি পাননি। ওদিকে মুস্তাফিজ ঠিকই পেয়ে গেছেন সে মহার্ঘ্য। তিনজনই পেস বোলার। তবু বিসিবি তাদের এনওসি নিয়ে হেটেছে দুই পথে। এ নিয়ে তাই প্রশ্নটা উঠে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সে প্রশ্নটা আজ ধেয়ে গিয়েছিল তাসকিন আহমেদের কাছেও। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার উত্তরে জানান, এখানে ‘দ্বিমুখী’ নীতি দেখছেন না তিনি। তার কথা, ‘নীতি অলমোস্ট একই। একজনের বডি টাইপ একরকম থাকে, তাই বোর্ডের কনসার্ন আলাদা থাকে। আর ফাস্ট বোলারদের যাদের দেখছেন, তাদের অনেককেই ইনজুরি ম্যানেজ করে খেলতে হচ্ছে। হয়তো আমার বডি টাইপ, আমার বোলিং টাইপ ডিফ্রেন্ট সে কারণে এবার আমি যেতে পারিনি।’
ওই ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের’ জন্য টেস্ট থেকেও সাময়িক বিরতি নিয়েছেন তিনি। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আর আমার তো টেস্ট খেলারও কথা ছিল কিন্তু কাধের চোট ম্যানেজ করার জন্য আমি বিরতিতে গেছি।’
তবে আইপিএলে খেলা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তাসকিনের মনে। তার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে আবার এই সুযোগ আসবে তার সামনে। বললেন, ‘যা চলে গেছে তা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। ইন শা আল্লাহ সামনে খেলব, সামনে যখন ফ্রি টাইম পাব, শুধু আইপিএল না আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আছে।’