সিরিজ-সেরা ব্যাটিংয়েও হোয়াইটওয়াশ এড়ানো হলো না
শেষমেশ হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ।
পুরো সিরিজে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে বেশ ধুঁকেছে। শেষ ম্যাচে এসে দেখা গেল সিরিজের সেরা ব্যাটিং, পরে ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলল ১৩৫ রান। তবু অবশ্য হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচটা শেষমেশ হেরেছে ২১ রানে। তাতে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের কবলে পড়তে হলো বাংলাদেশকে।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করা ভারত শুরু থেকেই চড়ে বসে বাংলাদেশের ওপর। পাওয়ারপ্লেতে একটা উইকেট খোয়ালেও ৬ ওভার শেষে তুলে ফেলে ৫১ রান। তখনই আভাস মিলছিল ভারতের বিশাল সংগ্রহের।
ভারতের এমন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অবদানও আছে বেশ। ক্যাচ হাত ফসকে গেছে। এরপর গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও হয়েছে যাচ্ছেতাই। ভারতের ব্যাটাররা অনায়াসে উইকেটে থিতু হতে পেরেছেন এ কারণেই।
তবে স্মৃতি মান্দানা, হেমালতারা ইনিংস বড় করতে পারেননি মোটেও। এরপর একই পথে হাটেন হারমানপ্রীত করও। তিন জনের ইনিংসই শেষ হয়েছে ৩০ এর ঘরে।
এরপরও অবশ্য ভারতকে বড় রানের পথ থেকে সরানো যায়নি। শেষ দিকে রিচা ঘোষের ১৭ বলে ২৮-এ ভর করে ভারত তাদের ইনিংস শেষ করে সিরিজ সেরা ১৫৬ রান তুলে।
এই ম্যাচটা জিততে হলে বাংলাদেশকে গড়তে হতো রেকর্ড। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ১৪২। আজ জিততে হলে সেটা টপকে যেতে হতো নিগারদের। দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও সেটা টপকে যেতে পারেনি বাংলাদেশ।
সোবহানা মুস্তারির কল্যাণে শুরুটা ভালো পায় বাংলাদেশ। তবে সোবহানা ৯ বলে ১৩ রানের ভালো শুরুটাকে বড় কিছুতে রূপ দিতে পারেননি। তৃতীয় ওভারে তার বিদায়ের পর রানের গতি কমতে শুরু করে দলের। এরপর আবারও দেখা মেলে সবার ব্যাটিং ব্যর্থতার, অধিনায়ক জ্যোতি ব্যর্থ হন, সঙ্গে ২০ রান করা রুবায়া হায়দার আর স্বর্ণা আক্তাররাও যখন দ্রুতই বিদায় নিলেন, তখন আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়াটাকেই মনে হচ্ছিল দলের নিয়তি।
শেষমেশ রিতু মনির ৩২ বলে করা ৩৮ রানে ব্যবধানটা কমায় দল। শেষ দিকে শরিফা খাতুনের ২১ বলে ২৮ আর রাবেয়া খানের ১১ বলে ১৪ জয়ের আশাও ক্ষণিকের জন্য জাগিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে শেষমেশ সে আশা বাস্তবে রূপ নেয়নি। বাংলাদেশ হারে ২১ রানে। সিরিজ হারে ৫-০ ব্যবধানে।