বাবর-রিজওয়ানদের স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর পরামর্শ ইউনিসের

বাবর-রিজওয়ানদের স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর পরামর্শ ইউনিসের

ক্রিকেট এখন এগোচ্ছে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে। চলতি আইপিএলের পর ক্রিকেটে সেট হয়েছে নতুন ডাইমেনশন। পাওয়ার প্লে তে নব্বই-একশো রান এখন নিয়মিত কাণ্ডে পরিণত হয়েছে আইপিএলে। মোটকথা, ওপেনারদের অ্যাপ্রোচই পুরোপুরি বদলে গেছে। এটার সাথে তাল মিলিয়ে না চললে ছিটকে যেতে হবে রেস থেকে।

এখন দলের স্কোরবোর্ডে ২৫০ও যেন নিরাপদ নয়! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও এই গতিতে রানবন্যার ঢল না নামলেও সেটা আসন্ন বলেই মনে হচ্ছে। এতো বেশি রান না হলেও ২০০ কিংবা ২২০ রানও এখনও মামুলির পর্যায়ে নেমে আসতে শুরু করেছে। যে রান করতে পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর বিকল্প যেমন নেই, তেমনি টপ অর্ডারকে পালন করতে হবে গুরু দায়িত্ব। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের যেন সেটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন তাদেরই বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খান।

একটি দল দুইশো রান করতে পারলে তবে ম্যাচ বাঁচানোর অবস্থায় যেতে পারে। এখনকার দিনে ১৭০ যথেষ্ট নয়। বাবর আজম, ফখর জামান এবং রিজওয়ানকে ব্যাটিংয়ের গিয়ার বদলাতে হবে৷ এখনকার দিনে রান তুলতে হয় আগের চেয়ে বেশি গতিতে। অ্যাটাকিং ব্যাটিংয়ের দায়িত্বটা খেলোয়াড়দেরই নিতে হবে।

ক্যাপ্টেনের চিন্তাভাবনা কেমন হওয়া উচিৎ? ক্রিকেটারদের কতখানি ত্যাগ স্বীকার করতে আধুনিক ক্রিকেটে? ভালো করতে হলে কী কী করতে হবে? সবই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ইউনিস।

অধিনায়ককে আউট অব দ্য বক্স ভাবতে হবে। আর খেলোয়াড়দেরও নিজেদের পছন্দের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবাই অধিনায়ককে সহযোগিতা করবে। একজনের ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, একটা পরিকল্পনা একজন দিয়ে বাস্তবায়িত হয় না।

বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে মোট সাতটা টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সেটাই উপযুক্ত মঞ্চ, ইউনিসের টিপসগুলোর মঞ্চায়নের।

সম্পর্কিত খবর