১১ ওভারে ১০০ করা বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩
টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছিল ওপেনিং জুটি। চতুর্থ ম্যাচে এসে জুটি পরিবর্তন করে লিটনকে বসিয়ে তানজিদ তামিমের সঙ্গী করে পাঠানো হয় সৌম্য সরকারকে। এমন পরিকল্পনা কাজেও লেগেছে বেশে। পাওয়ার প্লেতে ৫৬ রান আসার পর ১১ ওভারে দলীয় ১০০ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এরপর অবশ্য দুই ওপেনারই ফিরে গেছেন ইনিংসের ১২ তম ওভারে, লুক জংওয়ের একই ওভারে। তবে তাতে বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরে যাওয়ার মতো কিছু হয়নি। বরং পেছনে লম্বা ব্যাটিং অর্ডার থাকায় বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত দেড়শ ছুঁতে পারেনি মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দারুণ শুরু করা বাংলাদেশ গুঁটিয়ে গেছে ১৪৩ রানে। চ্যালেঞ্জিং পুঁজিও দাঁড় করাতে পারেনি।
অথচ সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশ মিরপুরে চতুর্থ ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ের শুরুটা পেয়েছিল স্বপ্নের মতো। তামিম-সৌম্য ফেরার আগে বাকিদের জন্য প্রস্তুত করে রেখে গিয়েছিল বড় সংগ্রহের ভিত গড়ার মঞ্চ। অথচ মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটি। দলীয় ১০১ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৩০ রানের মাথায় হারিয়ে বসে ৭ উইকেট।
তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফেরার পর একই ওভারে ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন সৌম্য। সিরিজ জুড়ে দারুণ খেলা তাওহিদ হৃদয় ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ৮ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর ১০ মাস পর খেলতে নামা সাকিব আল হাসান ফিরে যান ৩ বলে ১ রান করে। সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত দায়িত্ব নিতে পারেননি। ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
এখান থেকে বড় সংগ্রহ দূরে থাক দেড়শ পার করা চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়ায় হয়ে উঠে শঙ্কা। সেই শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে। বড় সংগ্রহ দূরে থাক কোনো রকমে জিম্বাবুয়েকে ১৪৪ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।