যে জয়ে স্বস্তির চেয়ে অস্বস্তিই বেশি বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবশেষ কবে এমন দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ১১ ওভারে করা ১০১ রানের জুটি দেখে সেই প্রশ্নই মাথায় আসবে আপনার। তবে যখন দেখবেন এমন দুর্দান্ত শুরুর পরও ১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ তখন ছোট করে হলেও একটা ধাক্কা তো খাবেনই। বাংলাদেশির ব্যাটিং সত্যিকার অর্থে আপনাকে সেই ধাক্কাই খাওয়াবে। এমন ছোট পুঁজিতেও যে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরের চেনা কন্ডিশনে কঠিন লড়াই জমিয়ে তুলবে বাংলাদেশ, সেটা একরকম অনুমেয়ই ছিল। হয়েছেও তাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের নাটকীয়তাই জিম্বাবুয়েকে হারতে হয়েছে ৫ রানের ব্যবধানে।
এদিন ছোট লক্ষ্যে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। তাসকিন তোপে শুরুতেই শূন্য রানে ফিরতে হয় ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর চাপ সামাল দিতে নেমে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা কিছু দূর খেলে সাজঘরে ফেরেন ১০ বলে ১৭ রান করে। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এরপর সাকিব এসে ফেরান মারুমানিকে। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল-রায়ান বার্ল জুটি। তাদের ৩৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের আভাস মিলে। এরপর বার্ল ফিরলেও দলকে পথ দেখান ক্যাম্পবেল। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা কেড়েও দলকে জেতাতে পারেননি ক্যাম্পবেল। সেই আফসোস ছিল তার। সেই আফসোস আরও বেড়েছে তার। জিম্বাবুয়েকে মাঝপথে রেখে ২৭ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি।
শেষদিকে জিম্ববুয়েকে ম্যাচ জেতাতে দায়িত্ব পড়ে ফারাজ আকরামের কাঁধে। আগের ম্যাচে শেষ ২ ওভারে ২৭ রান করতে গিয়ে পারেননি। তবে এ ম্যাচে এক ওভার বেশি হাতে পেয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্যটা তাই তুলনামূলক সহজ ছিল। এমন সমীকরণে শেষ দুই ওভারে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্যটা নেমে আসে ২১ রানে। এরপর মুস্তাফিজ এসে তুলে নেন ফারাজের উইকেট। জিম্বাবুয়ের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই। এরপর শেষ ওভারে ১৪ রানের লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ে করতে পেরেছে ৭ রান। জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমেছে ১৩৮ রানে।
এর আগে, সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশ মিরপুরে চতুর্থ ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের মতো শুরু পায়। তামিম-সৌম্যর জুটিতে আসে ১০১ রান। যেখানে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫২ রান। সৌম্য করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। দলীয় ১১ ওভারে ১০০ ছুঁই বাংলাদেশ। যদিও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাকিরা। মাঝে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কোনো ব্যাটার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৩ রানে।