সুদর্শন-শুবমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে চেন্নাইকে হারাল গুজরাট 

সুদর্শন-শুবমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে চেন্নাইকে হারাল গুজরাট 

হারলেই আইপিএলের এবারের আসরের তৃতীয় দল হিসেবে বিদায় এবং জিতলে কাগজ-কলমের হিসেবে টিকে থাকবে প্লে-অফের সম্ভাবনা। এমন সমীকরণ নিয়েই ঘরের মাঠে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে নেমেছিল আগের আসরের রানার্স-আপ গুজরাট টাইটান্স। সেখানে দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও শুবমান গিলের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে ৩৫ রানের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এতে বেঁচে রইল প্লে-অফে গুজরাটের খেলার ক্ষীণ আশা। 

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তলানি থেকে তালিকার আটে উঠে এসেছে গুজরাট। এদিকে হারের পরও ১২ ম্যাচের ১২ পয়েন্ট চেন্নাই আছে চারে। 

আহমেদাবাদের গত রাতের ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় শুবমান গিলের দল। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় চেন্নাই। ইনিংসের ষষ্ঠ ও সপ্তম বলে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও আজিঙ্কা রাহানের। স্কোরবোর্ডে তখন স্রেফ ২ রান। পরের ওভারে ফেরেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও। এতেই স্রেফ ১০ রানেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ম্যাচটা কঠিন হয়ে পড়ে সেখানেই। 

সেই চাপ সামলে কিছুটা আশার আলো দেখায় ড্যারিল মিচেল ও মইন আলীর জুটি। চতুর্থ উইকেটে ৫৭ বলে তাদের জুটি থেকে আসে ১০৯ রান। তবে মোহিত শর্মার পরপর দুই ওভারে ফেরেন পিচে ততক্ষণে থিতু হওয়া এই দুই ব্যাটার। দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন মিচেল। মইন ফেরেন ৫৬ রান করে। বাকি কেউ আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু। শেষে এসে ১১ বলে ২৬ রানের এক ক্যামিও খেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এতে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৯৬ রানের থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস। সেখানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মোহিত। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই দারুণ কিছু করে দেখায় গুজরাট। ১০৪ বলে ওপেনিং জুটি থেকেই আসে ২১০ রান। যা আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি এবং ওপেনিংয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০২২ আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে রান তাড়ায় ওপেনিং জুটিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি কক মিলে তুলেছিলেন ২১০ রান। 

এদিকে ব্যাটিংয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে সুদর্শন তুলে নেনে তার আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ৫১ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। আরেক ওপেনার ও দলের অধিনায়ক শুবমান করেন ৫৫ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান। আইপিএলে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরির দিনে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। তাদের ২১০ রানের জুটিতেই গড়ে যায় বিশাল সংগ্রহের ভিত। এই দুই ওপেনার ফেরার পর ১৬ বলে স্রেফ ২১ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। 

আসরের শেষ দিকে এসে ইতিমধ্যেই প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে মুম্বাই ও পাঞ্জাব। বাকি আট দলই আছে শেষ চারের লড়াইয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

গুজরাটঃ ২৩১/৩ (২০ ওভার); গিল ১০৪, সুদর্শন ১০৩; দেশপান্ডে ২-৩৩, শার্দুল ০-২৫

চেন্নাইঃ ১৯৬/৮ (২০ ওভার); ড্যারিল ৬৩, মইন ৫৬; মোহিত ৩-৩১, রশিদ ২-৩৮

ফলাফলঃ গুজরাট ৩৫ রানে জয়ী

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ শুবমান গিল

সম্পর্কিত খবর