শান্তর আশ্বাস, দ্রুতই ছন্দে ফিরবে ব্যাটাররা 

শান্তর আশ্বাস, দ্রুতই ছন্দে ফিরবে ব্যাটাররা 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকাল সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের তাণ্ডবে একসময় মনে হচ্ছিল লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে দুইশ। ১১ ওভার শেষে বিনা উইকেটে দলীয় সংগ্রহ ছিল পুরো ১০০। সেখান থেকে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে! যেন এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না অনেকেই। দলীয় ১০১ রানের মাথায় ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। ৪১ রান করে পরের ওভারে ফেরেন সৌম্যও। ছন্দপতনের শুরুর সেখানেই। দলীয় ১২১ রানেও উইকেট সংখ্যায় ছিল ২। সেখান থেকে ২২ রান যোগে নেই বাকি আট উইকেট। 

ওপেনারদের ব্যর্থতা ছাপিয়ে শুরুটা যখন ভালো এনে দিলেন তানজিদ-সৌম্য সেখানে মিডল অর্ডাররা পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। শান্ত-সাকিব-জাকের মিলে করেন স্রেফ ৯ রান। দায়টা স্বাভাবিকভাবে পড়ে মিডল-অর্ডারদের ওপরই। ম্যাচ শেষে অবশ্য সেটি নিজেও মেনে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আশ্বাস দিলেন দ্রুতই ব্যাটারদের ছন্দে ফেরার।

গতকালের ম্যাচে ১৪৪ রানের লড়াকু সেই পুঁজিতে পর বোলারদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এতে সিরিজে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৪-০ তে।  

অবশ্য ব্যাটারদের এমন পারফর্মে উইকেটকেও কিছুটা দায় দেন শান্ত। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তামিম ও সৌম্য যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমরা তাদের নিয়ে খুবই খুশি। উইকেট তেমন একটা ভালো ছিল না। তবে আমাদের আরেকটু সাবধানে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। আশা করছি পরের ম্যাচেই কামব্যাক করব।’ 

সাকিব-মুস্তাফিজের ফেরার এই ম্যাচেও বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন বোলাররা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরেই ৪ উইকেট নেন সাকিব। শেষ ওভারে জোড়া উইকেট তুলে এনে দেন জয়। এদিকে আইপিএলে দারুণ সময় কাটিয়ে সেই ছন্দ জাতীয় দলেও ধরে রাখলেন মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে স্রেফ ১৯ রান দিয়ে দেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে আলাদা করে তাই বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি শান্ত। ‘পুরো সিরিজে আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। সাকিব দলে ফেরায় সবার আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে। তাদের (বোলার) কাছে আমাদের প্রত্যাশা মূলত এমনই। আশা করছি তারা এটা চালিয়ে যাবে।’ 

সম্পর্কিত খবর