মুশতাক আহমেদের ক্লাসে ‘ম্যাচ উইনারদের’ একদিন
‘ইন শা আল্লাহ, আপনি ম্যাচ উইনার হবেন’ – ক্যাম্পে ডাক পাওয়া এক তরুণ লেগ স্পিনারকে তার অ্যাকশন শুধরে দিতে দিতে বললেন মুশতাক আহমেদ।
আজ জাতীয় দলের অনুশীলন ছিল না। স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের কাছে তাই সময় ছিল ফাঁকা। সে সময়টাকেই বিসিবি কাজে লাগিয়েছে লেগ স্পিনার হান্ট থেকে উঠে আসা কিশোর-তরুণ লেগিদের তালিমে ডেকে। ওপরের দৃশ্যটা তারই একটা সময়ের।
বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের স্পিন কোচ শাহেদ মাহমুদ তিন মাসে ১১ জেলা খুঁজে ৮০ স্পিনার বের করে এনেছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে একাডেমি মাঠে ট্রায়ালের মাধ্যমে ২০ জনকে বাছাই করে, সঙ্গে যোগ হয় বয়সভিত্তিক পর্যায়ের আরও পাঁচ স্পিনার। তাদের মধ্যে কাছে-পিঠে যারা আছে, তাঁদেরকে নিয়েই আজ আয়োজন করা হয় মুশতাক আহমেদের স্পিন শিক্ষার ক্লাসের।
সেখানে শুরুতে পরিচয় পর্ব সারা হলো। এরপর শুরু হলো সবাইকে ধরে ধরে অ্যাকশন শুধরে দেওয়া, ভুলগুলো ঠিক করে দেওয়া। চায়নাম্যান স্পিনার ছিলেন একজন, শেষ মুহূর্তে নন বোলিং হ্যান্ড অনেক দূরে সরে যাচ্ছিল, সঙ্গে চোখও বল থেকে সরে যাচ্ছিল, যার ফলে বল পড়ে যাচ্ছিল অনেক ওয়াইড এরিয়ায়। চায়নাম্যানকে মুশতাক বললেন বোলিংয়ের সময় নন বোলিং হ্যান্ডটা পায়ের সঙ্গে আটকে বলে চোখ রাখতে। সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিকের মতো কাজ করল টোটকাটা। বল পড়ল একেবারে স্টাম্প লাইনে। ওপরের লাইনটা তিনি বললেন এই চায়নাম্যানকেই। এমন আরও ১৬ জনের সঙ্গে চলল এমন সেশন। শেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলল আরও কিছু আলোচনা।
দিন শেষে কোচ শাহেদ মাহমুদ জানান, ‘বেশির ভাগ কাজই হয়েছে কৌশলগত। আমাদের স্পিনারদের দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। সামনে কী করণীয়, বলেছেন তা–ও।’
তরুণ এই স্পিনারদের নিয়ে বড় সময় ধরে ক্যাম্প করার পরামর্শ দিয়েছেন মুশতাক, জানান শাহেদ। তাদের সঙ্গে কাজ করবেন মূলত শাহেদ। তবে বোলারদের প্রয়োজনে যে কোনো সময় সাহায্য করতে প্রস্তুত মুশতাক, জানিয়েছেন তিনি।