ইংলিশদের ধসিয়ে সপ্তম স্বর্গে দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপ জেতার মতো দল নিয়ে ভারতে আসা। তা নিয়ে দারুণ শুরু, এরপর আবার নেদারল্যান্ডসের কাছে হার। সে গ্লানি ভুলতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় কোনো পারফর্ম্যান্সই দিতে হতো। প্রোটিয়ারা সেটাই দিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডকে রীতিমতো ধসিয়েই দিয়েছে এইডেন মার্করামের দল, তুলে নিয়েছে ২২৯ রানের বিশাল এক জয়।
শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। কুইন্টন ডি কক ফিরে গিয়েছিলেন একেবারে শুরুতেই। এরপর রাসি ফন ডার ডাসেন আর রিজা হেনড্রিক্স পরিস্থিতিটা সামলান ১২১ রানের জুটিতে। ডাসেন ফেরার পর থেকে ডেভিড মিলার আসা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস চলছিল একই গতিতে। এমনকি ৪১ ওভার পর্যন্তও রান রেট ছিল ছয়ের আশেপাশে।
তবে ঝড়টা উঠল শেষে গিয়ে। ৪২তম ওভারে রিস টপলির এক ওভারে ১১ রান তুললেন হাইনরিখ ক্লাসেন। প্রোটিয়াদের রানের ফ্লাডগেট খুলে গেল যেন তখনই।
এরপর থেকে ৪৯ ওভার পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা রান তুলেছে ১২, ১৯, ৯, ১৮, ১৫, ২০ আর ২৬। মানে ৪২ থেকে ৪৯ পর্যন্ত ৭ ওভারে ক্লাসেন আর মার্কো ইয়ানসেন মিলে তুলেছেন ১৩০ রান, ওভারপ্রতি ১৮'রও বেশি! ক্লাসেন করেন সেঞ্চুরি থামেন ৬৭ বলে ১০৯ করে। ইয়ানসেন ৪২ বলে করেন ৭৫। আর তাতেই এক লাফে দক্ষিণ আফ্রিকার রানটা প্রায় ছুঁয়েই ফেলে ৪০০'র বেঞ্চমার্ক।
সমান ৪০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ইংলিশরা শুরু থেকেই চাপে ছিল। ১৮ রানে প্রথম উইকেট খুইয়ে শুরু। এরপর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম দেখল লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো ইয়ানসেন আর জেরাল্ড কোয়েটজিদের দাপট। ইংলিশদের শীর্ষ ব্যাটারদের কেউই করতে পারলেন না বিশের বেশি রান। এক পর্যায়ে তো ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানে হারের শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
তবে সেটা হয়নি শেষে গাস অ্যাটকিনসন আর মার্ক উডের ৩৪ বলে ৭০ রানের জুটিতে। ইতিহাসের তো বটেই, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানে হারের লজ্জার রেকর্ডও এড়ায় ইংল্যান্ড। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ২২৯ রানে হেরেছে দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকা বড় এই জয়ে চলে এসেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারেও।