জিম্বাবুয়ের মান বাঁচিয়ে যা বললেন বেনেট 

জিম্বাবুয়ের মান বাঁচিয়ে যা বললেন বেনেট 

চট্টগ্রামের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল জিম্বাবুয়ে। পরে জোনাথন ক্যাম্পবেলকে নিয়ে জুটি গড়ে শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন ব্রিয়ান বেনেট। সেই ম্যাচে ২৯ বলে ৪৪ রান করছিলেন এই ২০ বছর বয়সী তারুন ব্যাটার। অবশ্য ম্যাচটিসহ সিরিজের শুরুর চারটি ম্যাচই জেতে স্বাগতিক বাংলাদেশ। 

দ্বিতীয় ম্যাচের পরই ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসে বেনেটের। তৃতীয় ম্যাচে তাকে নামানো হয় তিনে। এবং শেষ দুই ম্যাচে নামেন ওপেনিংয়ে। এর মধ্যে তৃতীয় ম্যাচে করেন ৫ রান এবং চতুর্থ ম্যাচে ০। তবে একাদশ জায়গা হারাননি এই ডানহাতি ব্যাটার এবং সেটি কেন তা যেন বুঝিয়ে দিলেন সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে। 

শেষ ম্যাচের জয়টা যেন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জায়গা হারানোর পর এই সফরেও খালি হাতে ফেরার উপক্রম হয়েছিল তারা। তবে বেনেটের নৈপুণ্যে আর খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না জিম্বাবুয়েকে। বল হাতে আজকের (রোববার) সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে দুটি উইকেট নেওয়ার পর ওপেনিংয়ে নেমে দলীয় সর্বোচ্চ ৭০ রানও করেন বেনেট। দলের ৮ উইকেটের সহজ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচটিতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভিড়ে জিম্বাবুয়ের এই সফরের দলে বেনেটসহ তরুণ ক্রিকেটার আছেন কয়েকজন। সিরিজটা তারা জিততে পারেনি, তবে তরুণদের সামনে যেহেতু আরও সময় থাকছে এতে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার আশ্বাস দিলেন বেনেট। 

ম্যাচ শেষে ম্যাচসেরার খেতাব জেতার পর বেনেট বলেন, ‘আগের ম্যাচে আমরা জয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম। তবে শেষে এসে দল জয় নিয়ে ফিরে যেতে পারায় আমি সত্যিই অনেক খুশি। স্বাভাবিকভাবেই এমন কিছু পুরো সিরিজে আপনি চাইবেন না। তবে জয়ের জন্য আজকে সবাই লড়েছে।’ 

বাকি তরুণদের নিয়ে আশা জোগানো ছাড়াও দলের কোচিং প্যানেলের প্রশংসাও করলেন বেনেট। তিনি বলেন, ‘কোচিং স্টাফদের থেকে আমরা ভালো সাপোর্ট পেয়েছি। এই দলে কয়েকজনই তরুণ আছে। যেহেতু আমাদের হাতে এখনো কিছু সময় আছে তাই দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’ 

সম্পর্কিত খবর