স্ট্রাইক রেটের জন্য ২ বছর সময় চাইলেন শান্ত
এবারের বিশ্বকাপে খেলছে ২০ দল। তার ২০ অধিনায়কের মধ্যে নিচ থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রাইক রেট। তার স্ট্রাইক রেট ১১১.১৬। দলের বাকিদেরও যে স্ট্রাইক রেটের অবস্থা খুব ভালো, তাও নয়। ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের গতিটা ঠিকঠাক ধরতে পারছে না বাংলাদেশ।
তবে অধিনায়ক শান্ত এর দায়টা চাপালেন উইকেটের ওপর। বললেন, ‘আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট...কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি।’
সঙ্গে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দুই বছরের মতো সময় বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘এই জিনিসটা সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।’
স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথার কারণ, টি-টোয়েন্টিও যে একটু একটু করে ব্যাটারদের খেলা হয়ে যাচ্ছে! পাশের দেশের আইপিএলে এখন ২০০ রান উঠছে হরহামেশাই। সেখানে বিশ্বের প্রায় সব নামী-দামী ক্রিকেটারই খেলছেন। এছাড়াও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২০০ রান খুবই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে এখন।
তবে শান্ত জানালেন, এমন কিছু স্রেফ আইপিএলেই ‘স্বাভাবিক’ হতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকবে তার জায়গাতেই। তার কথা, ‘আইপিএল যে উইকেটে হয়েছে..আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। আমার মনে হয় লাস্ট ইয়ার পিএসএলেও এরকম রান হয়েছে, ২০০ প্লাস, আড়াইশ রানও হয়েছে । কিন্তু আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর। এটা সচরাচর রেগুলার কিন্তু দেখা যায় না। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে এরকমই রান হবে, ১৬০-৮০ এর মধ্যেই থাকবে ভালো উইকেটে। এর ভেতরই বোলারদের ডিফেন্ড করতে হবে বা রান চেজ করতে হবে। আইপিএলের সঙ্গে তুলনা করাটা আমার মনে হয় না কখনোই যৌক্তিকতা।’