পেসারদের তোপে রাজস্থানকে অল্পেই থামাল চেন্নাই
আসরে শুরুর নয় ম্যাচের আটটিতেই জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। সম্ভাবনা জাগিয়েছিল সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিতের। তবে পরে টানা দুই ম্যাচে হেরে সেই যাত্রায় বেড়েছে অপেক্ষা। এদিকে ১২ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের জয় হারের পাল্লা সমান। জয় ছয় ম্যাচে, হারটাও সমান ছয় ম্যাচে। এতে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে বাকি দুই ম্যাচেই জয় চাই গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ সামনে রেখে নিজেদের ১৩তম ম্যাচে আসরের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ যখন রাজস্থানের তখন দলীয় পারফর্মটা যেন অপরিহার্য। সেখানে অর্ধেক কাজ সেরে রাখলেন বোলাররা। মূলত দুই পেসার সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপান্ডে। তাদের পেস তোপে টপ টু মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা ভালো শুরুর পরপরই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। পরে রিয়ান পরাগের অপরাজিত ৪৭ এবং ধ্রুব জুরেলের ২৮ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৪১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান।
নিজেদের আগের ম্যাচেই গুজরাট টাইটান্সের মাঠে বোলিংয়ে হতশ্রী পারফর্মে ২৩২ রানের বিশাল লক্ষ্যের মুখে পড়ে চেন্নাই। সেই ম্যাচটিতে ৩৫ রানে হেরেছিল তারা। তবে নিজেদের মাঠে ফিরে বোলিং ছন্দটাও যেন ফিরে পেল স্বাগতিকরা। আগের ম্যাচেই আইপিএলের চলতি আসরে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পান সিমারজিত। তবে ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না নিয়ে দেন ৬০ রান। তবে এই ম্যাচে ৪ ওভারে স্রেফ ২৬ রান খরচেই নিলেন ৩ উইকেট, তাও আবার টপ-অর্ডারের তিন উইকেটই।
চিপকে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল রাজস্থান। রানের গতি কিছুটা ধীরে থাকলেও পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪২ রান তোলে তারা। এরপর রানের গতি আরও কমতে শুরু করে সঙ্গে ব্যাটিং ধস। সিমারজিতের পরপর দুই ওভারেই ফেরেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় সফরকারী দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকেও ফেরান সিমারজিত।
১৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ওঠে স্রেফ ৯৪ রান। অনায়াস ২০০-২৫০ রানের ইনিংসের আসরে যা খানিকটা বেমানানই। পরে রিয়ানের ৩৫ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং জুরেলের ১৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ১৪১ রানের পুঁজিতে পৌঁছায় সফরকারীরা।