দিল্লিকে থামিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল বেঙ্গালুরু

দিল্লিকে থামিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল বেঙ্গালুরু

আইপিএলের চলতি আসরের প্রথমার্ধে একের পর এক হারের দেখা পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি নিজের সেরা চেষ্টাটা করে গেলেও আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি পুরো দল। প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না তাদের, পয়েন্টে টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছিলেন কোহলিরা।

তবে নিজেদের সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার তীব্র সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে বেঙ্গালুরু। রবিবার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪৭ রানের জয় তুলে নেওয়ার মাধ্যমে প্লে-অফে খেলার আশা আবারও জাগিয়ে তুলেছে তারা।

এদিন টসে জিতে শুরুতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দিল্লি। কোহলি উড়ন্ত সূচনা করলেও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এরপর বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডারে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৭ রান।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিল্লি। পাওয়ার প্লে-তেই হারিয়ে বসে টপ অর্ডারের চারজন ব্যাটার। অধিনায়ক অক্ষর পাটেলের ব্যাটে চড়ে জয়ের আশা দেখছিল দিল্লি, স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই সবকটি উইকেট হারায় দিল্লি, স্কোরবোর্ডে তখন জমা হয়েছিল ১৪০ রান। ফলে ঘরের মাঠে দাপুটে জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু।

এই জয়ের পর ১৩ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছেন কোহলিরা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও রানরেটের হিসেবে এক ধাপ নিচে আছে দিল্লি। বেঙ্গালুরুর পরের ম্যাচ চেন্নাইয়ের বিপক্ষে, যেখানে জিততে পারলেই চেন্নাইকে থামিয়ে শীর্ষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে পারবে বেঙ্গালুরু।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

বেঙ্গালুরুঃ ১৮৭/৯ (২০ ওভার); পাতিদার ৫২, জ্যাকস ৪১; রাসিখ ২-২৩, খলিল ২-৩১।

দিল্লিঃ ১৪০ (১৯.১ ওভার); অক্ষর ৫৭, হোপ ২৯; ইয়াশ ৩-২০, ফার্গুসন ২-২৩।

ফলাফলঃ বেঙ্গালুরু ৪৭ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য সিরিজঃ ক্যামেরন গ্রিন।

সম্পর্কিত খবর