একমাত্র সাইফউদ্দিনেরই কপাল পুড়ল
আগামী ২ জুন শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে অংশ নেবে ২০টি দল। বিশ্বকাপের আগে দল ঘোষণার প্রাথমিক কাজ সারতে হয় প্রতিটি দলকে। যার জন্য আইসিসি দলগুলোকে সময় বেধে দিয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই সময়ের মধ্যে বাকি দলগুলোর মতো বিসিবিও আইসিসিকে পাঠিয়েছে ১৫ জনের তালিকা। যদিও বিতর্ক এড়াতে সেই নামগুলো প্রকাশ্যে আনেনি বিসিবি।
অবশেষে মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। যেখানে নির্বাচকদের কাছে প্রশ্ন এসেছিল এর আগে আইসিসিকে কোন দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। সেই দলে কি কোনো পরিবর্তন এসেছে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন সেই পরিবর্তনের কথা। তবে সেই পরিবর্তন খুব বেশি নয়। ১৫ জনের দলের ১৪ জন টিকে গেছেন, কেবল কপাল পুড়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
সাইফউদ্দিনের বাদ পড়ার কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা। সেই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে বেশ পারফর্মও করলেও তৃতীয় ম্যাচে খেই হারান সাইফউদ্দিন। খরচ করেন ৪২। যার ফলে চতুর্থ ম্যাচে তাকে খেলায়নি দল। পঞ্চম ম্যাচে তাসকিন না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতো তার। তবে সেই দায়িত্ব তো নিতেই পারেননি উল্টো ৫৫ রান খরচ করে দলের হারের কারণ হয়েছেন। এই চার ম্যাচে সিরিজের সর্বোচ্চ ৮ উইকেট পেলেও বেশি রান খরচ করায় শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছেন তিনি।
সাইফ উদ্দিনকে দলে না রাখা নিয়ে লিপু বলেন, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে– প্রথমত দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবকে আমরা শ্রীলঙ্কা সিরিজেও দেখেছি। তার একাগ্রতা ও আগ্রাসন খুব ভালো। তার সঙ্গে সাইফউদ্দিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। সে জায়গায় সাকিব উৎরে গেছে। হাসান মাহমুদকেও আমরা ক্যারি করতে হচ্ছে, তবে আশা করি তাকে খেলানো লাগবে না।’