লক্ষ্ণৌকে হারিয়েও বিদায়ের দুয়ারে দিল্লি, শেষ চারে রাজস্থান 

লক্ষ্ণৌকে হারিয়েও বিদায়ের দুয়ারে দিল্লি, শেষ চারে রাজস্থান 

আইপিএলের এই পর্যায়ে এসে শেষ চারের সমীকরণ মেলাতে প্রয়োজন পড়তে পারে কোনো গণিতবিদের। মৌসুমের শেষ দিকে এসে প্লে-অফের লড়াই দেখে এতোটুকু বলাই যায়। গত রাতে আসরে নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়েও বিদায়ের দুয়ারেই রিশাভ পান্তের দলটি। এদিকে হারের পর বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে লক্ষ্ণৌয়েরও। এদিকে নিজেদের ১৩তম ম্যাচের নামার আগেই প্লে-অফের টিকিট পেল রাজস্থান রয়্যালস। 

লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে দিল্লি জেতে ১৯ রানে। এতে ১৪ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। এদিকে তালিকার তিন ও চারে থাকা হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের পয়েন্টও ১৪। তবে তারা বাকি ম্যাচগুলোতে বিশাল ব্যবধানে হারলেও দিল্লির ঋণাত্মক নেট রান রেটের নিচে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে দিল্লির বিদায়ের ঘোষণা যেন টিকে রইলো খাতা-কলমের হিসেবে। এদিকে লক্ষ্ণৌয়ের হিসাবও খানিকটা একই। ১৩ ম্যাচের ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার সাতে। এবং শেষ ম্যাচের বিশাল ব্যবধানে জিতলেও ছাড়িয়ে যেতে পারবেনা চেন্নাই-হায়দরাবাদের নেট রান রেট। এতেই তাদেরও বিদায়টাও স্রেফ আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দেরীতে। 

এদিকে দুইয়ে থাকা রাজস্থানের পয়েন্ট ১৬। বাকি আছে দুই ম্যাচ। গত রাতের ম্যাচের শেষে রাজস্থানের ১৬ পয়েন্ট ছুঁতে পারবে স্রেফ হায়দরাবাদ ও চেন্নাই। এতেই শেষ চারে জায়গা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে সঞ্জু স্যামসানের দলটির। 

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকালের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন  লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। সেখানে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ার প্লেতেই বড়সড় ধাক্কা খেয়ে বসে লক্ষ্ণৌ। ৪ ওভার ১ বলে ৪৪ রান তুলতেই সাজঘরে পাড়ি জমান শুরুর চার ব্যাটার।  অধিনায়ক রাহুল, স্টয়নিস ও দিপক হুদা সবাই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে। এতে সম্ভাবনা জেগেছিল আরও আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং তাণ্ডবে জয়ের ক্ষীণ আশা বুনতে থাকে সফরকারীরা। তবে দলীয় ১০১ রানের মাথায় এই ক্যারিবীয় হার্ড-হিটার ব্যাটার ফিরলে সেই ক্ষীণ আশাতেও পড়ে ভাটা। পুরান ফেরেন দলীয় সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৬১ রান করে। 

শেষ দিকে এসে অবশ্য আরশাদ খানও চালালেন কিছুটা লড়াই। তার ৩৩ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে চড়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৯ রানের থামে লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসের। দিল্লি জয় পায় ১৯ রানের। তবে তাদের প্লে-অফের বাঁচিয়ে রাখতে জিততে হতো অন্তত ৯৬ রানের ব্যবধানে। 

দিল্লির পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। 

এদিকে আগে ব্যাট করতে শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল স্বাগতিকরা। এদিন ইনিংসের প্রথম ওভারে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন আসরের অন্যতম হার্ড-হিটার ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। তবে সাই হোপকে সেই চাপ সামলে নেন আরেক ওপেনার অভিষেক পোরেল। গড়েন ৯৪ রানের জুটি। সেখানে হোপ ফেরেন ৩৮ রান পরে। পরে দলীয় ১১১ রানের ফিফটি তুলে ফেরেন পোরেলও। 

এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার সাজা কাটিয়ে ফিরে দিল্লির অধিনায়ক পান্ত ফেরেন ৩৩ রান করে এবং শেষ দিকে ট্রিস্টান স্টাবসের ২৫ বলে ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে  চড়ে দুইশ পেরোনো সংগ্রহে পৌঁছে যায় দিল্লি। 

সম্পর্কিত খবর