স্পার্সকে হারিয়ে শিরোপার দুয়ারে সিটি
‘(ওই ম্যাচে) টটেনহ্যামের সবচেয়ে বড় সমর্থক হবো আমি’ – কথাগুলো কাই হ্যাভার্টজের। ৩৭তম গেমউইক পর্যন্ত টটেনহ্যামের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের শিরোপার দৌড়ে থাকার অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সেই তিনি কি না সমর্থক বনে গেলেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের! কেন?
উত্তরটা লুকিয়ে ছিল ওই কথার পরের টটেনহ্যামের ম্যাচে। লড়াইটা যে ছিল ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে! যারা শিরোপার পথে আর্সেনালের একমাত্র কাঁটা হয়ে ছিল। শেষমেশ স্পার্সরা আর্সেনালের ‘উপকার’ করতে পারেনি। বরং পথের কাঁটাটাকে রীতিমতো দেয়াল তুলে দাঁড়ানোর সুযোগই করে দিয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ গোলে হারিয়েছে তাদের। তাতে শিরোপার দুয়ারেও চলে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। ওদিকে আর্সেনাল শিরোপার খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পোড়ার কাছাকাছি চলে গেছে।
ম্যাচের আগে আর্সেনালের আশায় বুক বাঁধার মতো উপকরণ কম ছিল না। টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে এর আগের চার লিগ ম্যাচের একটাতেও জেতা তো দূর অস্ত, ড্র করা বা গোল করার নজির ছিল না সিটির। সে ইতিহাস যদি টটেনহ্যাম কালও ধরে রাখতে পারত, তাহলেই তো কাজ হয়ে যেত আর্সেনালের!
তবে শেষমেশ তা আর হয়নি। মনে হচ্ছিল অবশ্য তেমন কিছু হলেও হয়ে যেতে পারে। প্রথমার্ধে দলটা গোলের দেখা পায়নি শত চেষ্টা করেও। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলটার দেখা পেয়ে যায় সিটি। গোলটা আসে আর্লিং হালান্ডের পা থেকে।
তবে সমতার গোলটা টটেনহ্যাম প্রায় পেয়েই গিয়েছিল। বদলি গোলরক্ষক স্তেফান ওর্তেগাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সিটির ‘যমদূত’ হিউং মিন সন, তবে তার শটটা পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক। আর তাতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সিটিজেনরা।
যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ফাউলের শিকার হলে ম্যানসিটির পক্ষে যায় পেনাল্টি। তা থেকে আর্লিং হালান্ডের গোল জয়ের সঙ্গে শিরোপার লড়াইয়ে চালকের আসনটাও পাইয়ে দেয় সিটিকে। এই ম্যাচের পর গার্দিওলার শিষ্যদের পয়েন্ট গিয়ে ঠেকল ৮৮তে, আর দুইয়ে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট রইল ৮৬। আগামী রোববার ওয়েস্ট হ্যামকে ঘরের মাঠে হারিয়ে দিতে পারলেই ইতিহাস গড়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতে যাবে দলটা।