পাঞ্জাবের নিয়মরক্ষার ম্যাচে রাজস্থানের হারের ‘হালি’
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাব কিংসের। এতেই প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। এদিকে গত রাতের ম্যাচে নামার আগেই প্লে-অফের জায়গা নিশ্চিত হয় রাজস্থান রয়্যালসের। তবে এ ম্যাচেও জয়টা নিশ্চিত করতে পারলো না তারা। শেষ চারে জায়গা পাকাপোক্ত হলেও এ নিয়ে টানা চার ম্যাচেই হারল রাজস্থান। এতে শঙ্কায় পড়েছে শীর্ষে দুইয়ে জায়গা ধরে রেখে তাদের প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার।
গৌহাটিতে গত রাতের ম্যাচটিতে অধিনায়ক স্যাম কারেনের অলরাউন্ড পারফর্মে রাজস্থানকে ৫ উইকেটে হারায় পাঞ্জাব। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৬৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এই ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে এটিই ছিল কারেনের এই মৌসুমের শেষ ম্যাচ।
গতকালের একমাত্র ম্যাচটি টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা।
এদিকে লক্ষ্যটা সহজের কাতারে থাকেলও রাজস্থানের পেসারদের তোপে ৪৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাঞ্জাব। তবে পঞ্চম উইকেটে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কারেন। জিতেশ ২২ রান করে ফিরলেও কারেন টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এদিকে ১১ বলে ১৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন আশুতোশ শর্মা। এতে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। আসরের ১৩ ম্যাচে এটি ছিল পাঞ্জাবের পঞ্চম জয়।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জাতীয় দলের দায়িত্বে জশ বাটলার ফিরে গেলে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার টম কোলার-ক্যাডমোর। এটি ছিল তার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। তবে তা মোটেও সুখকর হলো না। ২৩ বলে ফিরেছেন স্রেফ ১৮ রান করে। জয়সওয়াল ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৩৮ রান উঠে রাজস্থানের। পরে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ক্যাডমোর-স্যামসন দুজনেই।
পরে অর্ডার বদলে পাঁচে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবং রিয়ান পরাগের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা হলেও সামলান। পরে ২৮ রান বলে অশ্বিন ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। কেবল রিয়ানের ৪৮ রানে ইনিংসে চড়ে লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছায় তারা।