‘বাংলাদেশের’ হতে পারবেন তো হামজা?

‘বাংলাদেশের’ হতে পারবেন তো হামজা?

‘হামজার সঙ্গে যে পরিস্থিতিটা চলছে, তাতে আমার মনে হয় আমরা আশাবাদী হতেই পারি।’

‘হামজাকে আমরা আনতে চাই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাফুফে থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’

প্রথম উদ্ধৃতিটা বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। গেল ফেব্রুয়ারিতে এমন আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। তার পরের উদ্ধৃতিটা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। বাফুফে প্রধানের এমন বক্তব্য হামজা চৌধুরির গায়ে লাল-সবুজ জার্সি দেখতে পাওয়ার স্বপ্নের পালে জোর হাওয়াই দিয়েছিল। 

তবে সম্প্রতি এমন কিছু ঘটল, যাতে সে স্বপ্নের পিঠে প্রশ্নের তির হিসেবেই বিঁধে গেছে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট করাতে গিয়ে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশনে বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন তিনি। 

ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরির বাংলাদেশের হয়ে খেলার বিষয়ে আগ্রহটা নতুন কিছু নয়। তবে সেটা দূর কল্পনা থেকে বাস্তবে রূপ নেওয়ার প্রথম ধাপটাই হচ্ছে পাসপোর্ট করানো। সম্প্রতি সেটাই করাতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়েছিলেন হামজা চৌধুরি আর তার মা রাফিয়া দেওয়ান চৌধুরি। তবে তাদের আশা পূরণ হয়নি। বিড়ম্বনার মুখে পড়ে শেষমেশ পাসপোর্টের আবেদন আর করা হয়নি তাদের। 

তাকে বাংলাদেশের জার্সিতে পেতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে নিয়মিত। বিষয়টা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেই জানিয়েছেন। তবে প্রক্রিয়াটা যে খুব সহজ নয়, সেটাও বাফুফে সভাপতি জানিয়েছিলেন গেল মার্চে। অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে সামনে, তা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বিষয়টা অত সহজ না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে সে বা আমরা চাইলেই তো হবে না। হামজার ক্লাবকে রাজি হতে হবে, ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের রাজি হতে হবে। বাফুফে থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। হামজাকে আমরা আনতে চাই।’ বাংলাদেশকে ফিফায় আবেদন করতে হবে, এরপর হামজার ক্লাব লেস্টার সিটি, তারপর ইংলিশ এফএর অনুমতি মিললে তবেই হামজার গায়ে উঠবে লাল-সবুজ জার্সি। তবে বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট এই সব প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত।

সম্প্রতি সেই পাসপোর্টই করাতে গিয়েছিলেন হামজা। যা নানা বিড়ম্বনায় পড়ে করানো হয়নি সেদিন। হামজার এই বিড়ম্বনার মুখে পড়া তাকে পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের আন্তরিকতাকে খানিকটা প্রশ্নের মুখেই ফেলে দিল বৈকি!

সম্পর্কিত খবর