মেসির দ্বিগুণ আয় রোনালদোর, এমবাপে-নেইমার কে কোথায়?

মেসির দ্বিগুণ আয় রোনালদোর, এমবাপে-নেইমার কে কোথায়?

প্রতিবছরই ধনী ক্রীড়াবিদদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবসা ও বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস। যেখানে জানানো হয় খেলোয়াড়দের বার্ষিক আয়ের তথ্য। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। যেখানে চতুর্থবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ তালিকায় মেসির অবস্থান তিন নম্বরে।

ফোবর্সের হিসেব মতে গেল বছর রোনালদোর আয় ছিল ২৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকার অংকে যা ৩ হাজার ৪৭ কোটি টাকারও বেশি। আর এই টাকার হিংসভাগ রোনালদো আয় করেছেন গত বছর সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়ে। ক্লাবটি থেকে রোনালদোর এক বছরে আয় করেন ২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। যা ফুটবল ইতিহাসের রেকর্ড পারিশ্রমিক।

এর বাইরে রোনালদোর নিজস্ব ব্যবসা আছে। সঙ্গে স্পন্সরসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেও মোটা অংকের টাকা ডুকে রোনালদোর অ্যাকান্টে। সে হিসেবেই এই ২৬ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেন রোনালদো।

এ তালিকায় রোনালদোর পরে অবস্থান জন রামের। স্প্যানিশ এই গলফারের আয়েও আছে সৌদির অবদান। কেননা, সৌদির এলআইভি গলফে যোগ দিয়েছেন রাম। আর সেখান থেকে নাকি এই তারকা আয় করবেন ৩০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে ফোর্বস বলছে ভিন্ন কথা। রামের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল ২১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার।

তালিকার তিন নম্বরে আছেন মেসি। ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় বলায় কিছুটা আলো সরেই গিয়েছে মেসির ওপর থেকে। যার প্রভাব পড়েছে তার আয়েও। রোনালদোর প্রায় অর্ধেক আয় মেসির। এর মধ্যে ক্লাব ইন্টার মায়ামির কাছ থেকে পান সাড়ে ছয় কোটি মার্কিন ডলার, বাকি টাকা আসে স্পন্সর, নিজের ব্যবসা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে। সব মিলিয়ে মেসির আয়ের পরিমাণ ১৩.৫ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

এ তালিকায় পরের দুটি নাম বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমস ও গ্রিক-নাইজেরিয়ান তারকা জিয়ানিস আন্তেতেকুমপোর। যাদের আয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ১২ কোটি ৮২ লাখ ও ১১.১ কোটি ডলার।

এ তালিকায় পরের তিনটি নাম কিলিয়ান এমবাপে, নেইমার ও করিম বেনজেমরা। তিন জনের আয়ের পরিমাণও অনেকটা কাছাকাছি। তাদের আয় যথাক্রমে ১১, ১০.৮ ও ১০.৬ কোটি মার্কিন ডলার।

সম্পর্কিত খবর