১০ মিনিটের ঝড়ে ব্রাদার্সকে বিধ্বস্ত করল আবাহনী
ব্রাদার্সের বিপক্ষে মোটে দু’গোলের জয়। ম্যাচের দশ মিনিট বাকি থাকতেও আবাহনীর পরিস্থিতিটা ছিল এমনই। তবে পরিস্থিতিটা বদলে গেল শেষ দশ মিনিটে। দশও নয় আসলে, ৮৬ থেকে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিট, এই ছয় মিনিটে ব্রাদার্সের জালে গুনে গুনে আবাহনী বল জড়িয়েছে চার বার। আর তাতেই প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা মাঠ ছেড়েছে ব্রাদার্সকে বিদ্ধস্ত করে, ৭-১ গোলের বিশাল এক জয় নিয়ে।
চলতি মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বড় দলগুলোর ম্যাচ মানেই যেন গোল উৎসব। সবশেষ দেখায় বসুন্ধরা ৭-১ ব্যবধানে, মোহামেডান তাদের উড়িয়ে দিয়েছিল ৮-০ গোলে। এবার সে খাতায় নাম লেখাল আবাহনীও।
নিজেদের মাঠ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরিয়েছে আবাহনী। তবে প্রথমার্ধে তাদের দাপটটা কেমন ছিল, তা ঠিক বোঝাতে পারছে না ১-০ গোলের স্কোরলাইন। ওয়াশিংটন ব্রান্দাওয়ের ১০ মিনিটের গোলটায় ভর করে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আবাহনী।
বিরতির পরও গোল হচ্ছিল ধীরে সুস্থে। ৬৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করলেন ওয়াশিংটন। এরপর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট নাম লেখালেন গোলের খাতা, তার ৬ মিনিট পর।
এরপর থেকে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা এই স্কোরলাইন নিয়েই বুঝি শেষ করবে আবাহনী। তবে পরিস্থিতিটা বদলাল ৭৯ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে নদির মাভলনভের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় ব্রাদার্স।
আবাহনী যেন জেগে ওঠল এরপরই। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান আবারও তিন গোলে নিয়ে যান স্টুয়ার্ট। ম্যাচটা ব্রাদার্সের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল তখনই। ৯০ মিনিটে গোল করে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। এর চার মিনিট পর পেয়ে যান নিজের চার নম্বর গোলের দেখাও। মাঝে ৯২ মিনিটে মেরাজ হোসেন অপির গোল আবাহনীকে ৭-১ গোলের বিশাল জয় এনে দেয়।
আবাহনী যখন গোল উৎসব করছে, ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মোহামেডান তখন নিদেনপক্ষে একটা গোলের জন্য হাপিত্যেশ করে মরছে। সেভাবেই যদি ম্যাচটা শেষ হতো, তাহলে আবাহনী আজই উঠে আসত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। তবে তা শেষমেশ হয়নি। তাই ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগের তৃতীয় স্থানেই রইল কোচ দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানীর দল।