হার দিয়েই আসর শেষ মুম্বাইয়ের, জিতেও বিদায় লক্ষ্ণৌয়ের
চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি আইপিএল শিরোপার মালিক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যারা আসরের শুরু থেকেই ছিল আলাদাভবে আলোচনায়। তবে না পরিসংখ্যান বা পারফর্ম বিচারে নয়, রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে নেতৃত্বে দেওয়া নিয়ে। আলোচনা সমালোচনায় পরিণত হতে নেয়নি বেশি সময়। কেননা আসরের শুরুর তিন ম্যাচেই হেরে যায় মুম্বাই। পড়ে আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের আগে বিদায় এবং হার দিয়েই আসরটা শেষ করলো তারা। মাঝে কেবল চারটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে মুম্বাই। যা আসরে সর্বনিম্ন জয়ের না চাওয়া এক কীর্তি।
এদিকে আসরে নিজেদের প্রথমপর্বের শেষ ম্যাচ জয়ের দেখা পেলেও প্লে-অফের আগে বিদায় নিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসও। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তারা জেতে ১৮ রানের ব্যবধানে। এতে ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৪। এতে তালিকার ছয় নম্বর অবস্থানে লোকেশ রাহুলের দলটি। আজকে প্লে-অফের শেষ জায়গা দখল করতে অলিখিত নকআউট ম্যাচে নামবে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু। এতেই আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দরাবাদ বাদে বাকি সব দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই। সেখানে আগে ব্যাট করে নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ।
লক্ষ্য তাড়ায় রোহিত শর্মার ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ৮ ওভার ৩ বলে বিনা উইকেটে ৮৮ রান তুলে ফেলে তারা। তবে এরপরই আসে বিপত্তি। পরের ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও সূর্যকুমার যাদব। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় ফেরেন রোহিতও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। স্কোরবোর্ডে ১২০ রান উঠতেই ফেরেন অধিনায়ক হার্দিক ও নেহাল ওয়াধেরা। মূলত সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মুম্বাই।
তবে ২৮ বলে নামান ধীরের অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংসটি হার্দিক-রোহিতদের হারের ব্যবধানটা অনেক কমিয়ে আনে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রবি বিষনোই ও নাভিন-উল-হক।
এদিকে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন একটা ভালো পায়নি লক্ষ্ণৌ। ইনিংস অর্ধেকে ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে স্রেফ ৬৯ রান। সেখান থেকে শেষ ১০ ওভারে অভারপ্রতি ১৪.৫ রান গড়ে দলটি তুলল ১৪৫ রান! যেই রান ঝড়ের মূল কারিগর তাদের ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ২৯ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় ৭৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক রাহুল করেন ৫৫ রান। এতেই দুইশ ছাড়িয়ে যায় সফরকারীদের সংগ্রহ।
এর আগে ২০২২ আসরটাও ঠিক একইভাবে শেষ করেছিল মুম্বাই। ১৪ ম্যাচে ছিল ৪ জয়, অবস্থান তালিকার একদম তলানিতে। এবারও ঠিক একই। ফারাকটা কেবল নেট রান রেটে। এবার তা কিছুটা কম।