২০২৫ আইপিএলে মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচে নিষিদ্ধ হার্দিক পান্ডিয়া
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েই ২০১৫ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় হার্দিক পান্ডিয়ার। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তার জাতীয় দলের যাত্রার গোড়াপত্তনও এই মুম্বাইয়েই। আইপিএলে তার অভিষেক আসর শেষে পরের বছরের শুরুতেই জাতীয় দলে ডাক পান তিনি। তবে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন এক হার্দিকের দেখা মিলে আইপিএলের ২০২২ আসরে এসে। নতুন দল গুজরাট টাইটান্স তাকে দলে ভেড়ায় অধিনায়ক করে। সেখানে সফলও হন হার্দিক। সেই মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট, পরের মৌসুমেও খেলে ফাইনালে। ‘নতুন’ রুপের সেই হার্দিকের শেষটাও তবে হলো দ্রুতই?
আইপিএলের এবার আসর দিয়ে ফের মুম্বাইয়ে যোগ দেন হার্দিক। সমালোচনা অবশ্য সেটি নিয়ে নয়। সমালোচনা শুরু হলো যখন রোহিত শর্মা, যার হাত ধরে রেকর্ড পাঁচটি শিরোপা জিতেছে মুম্বাই, তাকে সরিয়ে যখন নেতৃত্ব দেওয়া হলো হার্দিকের হাতে। সমালোচনা আরও জোরালো হলো যখন আসরের শুরুর তিন ম্যাচেই হারল তারা। সেই ব্যর্থতা চলল আসরের শেষ পর্যন্ত। আসরে স্রেফ চারটি জয়, প্রথম দল হিসেবে বিদায়, নিজ বা প্রতিপক্ষ দলের দুয়ো, মুম্বাইয়ের নতুন এই অধিনায়কের আসরটা কাটল দুঃস্বপ্নের মতোন। যেই দুঃস্বপ্ন আসরের শেষ ম্যাচেও যেন ছাড়ল না হার্দিকের পিছু।
গতকালের লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ১৮ রানের হারের পর স্লো ওভার রেটের জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছেন হার্দিক। যেহেতু গতকালের ম্যাচটি ছিল মুম্বাইয়ের এই আসরের সবশেষ ম্যাচ। এতেই এই নিষেধাজ্ঞা কাটাতে একবছর অপেক্ষা করতে হবে হার্দিককে এবং আইপিএলের পরের আসরের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
এ নিয়ে আসরে তৃতীয়বারের মতো স্লো ওভার রেটের সাজা খেল মুম্বাই। এতে তাদের অধিনায়ককে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ছাড়াও গুণতে হচ্ছে ৩০ লাখ রুপি এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারসহ একাদশের বাকি সবাইকে জরিমানা করা হয়েছে তাদের ম্যাচ ফির অর্ধেক, ১২ লাখ রুপি করে।