নাটকীয় জয়ে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু, দয়াল বন্দনায় ডু প্লেসিস

নাটকীয় জয়ে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু, দয়াল বন্দনায় ডু প্লেসিস

চেন্নাইয়ের সামনে বেঙ্গালুরুর দেওয়া ২১৮ রানের লক্ষ্যটা কার্যত ছিল স্রেফ ২০০ রানের। আর ম্যাচ হারলেও এই ২০০ রান করলেই প্লে-অফে চলে যেচ চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে ১৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা ধোনি ছক্কা হাঁকিয়ে বসয়ে সেই রানটা নেমে আসে ১১ রানে। পরের ৫ বলে ১১ রান করতে গিয়েই হাপিত্যেশ চেন্নাই ব্যাটাররা। যশ দয়ালের দ্বিতীয় বলেই ফিরতে হয় ধোনিকে। এরপর পরের চার বলে মাত্র ১ রান খরচ কলে বেঙ্গালুরুকে প্লে-অফে নিয়ে যান দয়াল। এমন ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে উঠলেও তা যে দয়ালের জন্যই সেটা তাকে উৎসর্গ করে বুঝিয়ে দিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস।

এবারের আইপিএলে রীতিমতো এক বিস্ময়ের জন্ম দিল বেঙ্গালুরু। প্রথম ৮ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে পরের ৬টিতে টানা জিতে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু। এমন জয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই বাধ ভেঙেছে উদযাপনে। পুরো ম্যাচে বিরাট কোহলির সে কি অ্যাগ্রেশন। ম্যাচ শেষে জয়ের পর সে কি উল্লাস। প্লে-অফ নিশ্চিত করে পুরো দল যেন শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিল এক মুহূর্তের জন্য।

অথচ, ধোনির কাছে প্রথম বলে ছক্কা হজমের পর আগের মৌসুমে শেষ ওভারে রিংকে সিংয়ের ৩০ রান তাড়া করাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলো। সেবারও যে বোলার ছিলেন তিনিই। তবে এদিন প্রথম বলে ছক্কা হজম করলেও পরে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, ব্যাটাদের বোকা বানিয়েছেন। ম্যাচটা নিজেদের করেছেন। বেঙ্গালুরুকে জিতিয়েছেন ২৭ রানের ব্যবধানে।

এমন জয়ের পর তাই যশ দয়ালের প্রশংসাই শুনা গেছে অধিনায়কের কণ্ঠে। ডু প্লেসিস বলেন, ‘কী একটি রাত! এত দুর্দান্ত পরিবেশ। নিজেদের মাঠে সমর্থকদের সামনে সিজন শেষ করা কেবল আনন্দের। আমি আমার ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরষ্কার দয়ালকে উৎসর্গ করলাম।’

শেষ ওভারে ঠিক কি বলেছিলেন দয়ালকে সেটা নিয়ে ডু প্লেসিস বলেন, ‘আমি বলেছিলাম এই উইকেটে বলে গতি কমানোই সেরা বিকল্প। আপনার দক্ষতার উপর আস্থা রাখুন, আপনি সত্যিই ভালো করছেন কাজেই সেটি উপভোগ করুন। আপনার কঠোর পরিশ্রমের কারণেই এটি হওয়ার কথা। তবে তিনি ইয়র্কার হিসাবে প্রথম বলটি করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হন, কারণ এদিন ইয়র্কার কাজ করছিল না। তাই তাকে বলে গতি কমানোর কথা বলেছিলাম এবং সে এটি অবিশ্বাস্যভাবে করে দেখিয়েছে।’ করেছিল।’

সম্পর্কিত খবর