কোরি অ্যান্ডারসন: দ্যা ডেঞ্জারম্যান

কোরি অ্যান্ডারসন: দ্যা ডেঞ্জারম্যান

বিশ্বকাপে এবারই প্রথম খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। টি-টোয়েন্টির বিশ্বআসরের সহ-আয়োজকও দেশটি। তবে কোনো বার বিশ্বকাপে না খেলার কারণে তাদের দুর্বল ভাবার সুযোগ আদৌ নেই। কারণ দলটিতে যে আছে কোরি অ্যান্ডারসন নামের একজনের উপস্থিতি!

নামটা পরিচিত ঠেকছে? ঠেকারই কথা অবশ্য। তার নামের পাশে যে একটা সময় ক্রিকেটের একটা বহুল আলোচিত বিশ্বরেকর্ডও লেখা ছিল! সেটা অতি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে নয়। কোরি অ্যান্ডারসন গেল দশকে খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে। সেখানেই গড়েছিলেন একটা বিশ্বরেকর্ড।

ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা প্রায় ১৮ বছর ধরে নিজের দখলে রেখেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। তবে সেটাকে অমর হয়ে যেতে দেননি যিনি, তিনি এই কোরি অ্যান্ডারসন। ২০১৪ সালের ঠিক প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩৬ বলে। রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছিলেন। পরে আবার অবশ্য তা হারিয়েও ফেলেছেন। পরের বছর জানুয়ারিতেই এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩১ বলে সেঞ্চুরি করে তা নিজের করে নেন। বিশ্বরেকর্ড হারালেও নিউজিল্যান্ডের রেকর্ডটা এখনও কোরিরই দখলে।

তার এমন তোপের মুখে বাংলাদেশও পড়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৪১ বলে তিনি ৯৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে মোট ৩ টেস্ট, ৬ ওয়ানডে আর ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি করেছেন ১ টি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি। বল হাতেও তিনি সফলতা পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪ উইকেট আছে তার নামের পাশে।

বাংলাদেশের অবশ্য সুখস্মৃতিও আছে তার বিপক্ষে। ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সিরিজেও তিনি দলে ছিলেন। প্রথম ওয়ানডেতে রুবেল হোসেনের হ্যাটট্রিকের তিন শিকারের একজনও ছিলেন এই তিনি। সব মিলিয়ে তার বিপক্ষে বাংলাদেশের ভালো আর খারাপ স্মৃতির অভাব নেই।

সেই তিনি আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। তবে তার পোশাকের রঙটা যাচ্ছে বদলে। গায়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি। নিউজিল্যান্ড থেকে ব্রাত্য হয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে এসেই থিতু হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী কোরি। প্রতিপক্ষ দলেও তিনিই এখন হয়ে আছেন সবচেয়ে বড় ত্রাস। যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে হলে আজ কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতে হবে বাংলাদেশকে।

সম্পর্কিত খবর