কোহলির আক্ষেপের রাতে ভারতের টানা ৫
সূর্যকুমার যাদবের রান আউটের পর খানিকটা নড়েচড়ে বসেছিল সমর্থকরা। তখনও জয় থেকে ৮২ রান দূরে ভারত। তবে বিরাট কোহলি বলেই ভরসা ছিল। তিনি অন্তত নিরাশ করবেন না। টেলেন্ডারদের নিয়ে ঠিকই দলকে জিতেয়ে মাঠ ছাড়বেন তিনি। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কোহলির ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বল হাতে রেখে জয় তুলেছে ভারত। তাতেই আসরে টানা পঞ্চম জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে রোহিত শর্মার দলের।
বিরাট কোহলির শতরান হবে কী হবে না এনিয়ে উৎকণ্ঠা। ভারতের জেতার লক্ষ্যের সঙ্গে কোহলির শতরানেরও যে বড্ড মিল শেষটায় এসে। এক পর্যায়ে ভারতের জিততে যখন ৯ রান চাই, তখন বিরাটের ৪৯তম শতরান করতেও চাই ঠিক একই অঙ্ক। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা। কিন্তু শেষটাতে এসে যখন ভারতের চাই ৫, বিরাটেরও ৫ তখনই কীনা কোহলি আউট।
বিশ্বকাপের ম্যাচে রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতেছে ভারত। এনিয়ে টানা ৫ ম্যাচে জিতল ভারত। সমান ৫ ম্যাচ খেলে ৪ জয় কিউইদের। ২০ বছর পরে অবশেষে আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিউজ়িল্যান্ডকে হারাল ভারত।
বিশ্বকাপে দু’দলেরই এটি পঞ্চম ম্যাচ। আগের চার ম্যাচের কোনটিতেই হারেনি কেউই। তাই এ ম্যাচে জিতলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে সেমিফাইনাল। সবার আগে সেমিফাইনালে উঠতে দু’দলই যে নিজেদের উজাড় করে দেবে; তা অনুমেয়ই ছিল। হয়েছেও তাই। লড়াইটা হয়েছে চোখে চোখ রেখেই। যদিও শেষ হাসিটা হেসেছে ভারতই।
এদিন কিউইদের ২৭৪ রানের জবাবে ভারতের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। দলীয় ৭১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪০ বল থেকে ৪৬ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক রোহিত। এরপর আরেক ওপেনার শুভমান গিলও ফিরে যান দ্রুতই। শ্রেয়াসকে নিয়ে চাপ সামাল দেন বিরাট কোহলি।
শ্রেয়াস ৩৩ রানে ফেরার পর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন কোহলি। তবে পথে ২৭ রানে ফিরে যান রাহুলও। এরপর দলে সুযোগ পাওয়া সূর্য ফিরলে ফের চাপে পড়ে ভারত। যদিও সেই চাপ জাদেজাকে নিয়ে দক্ষতার সঙ্গেই সামলে নিয়েছেন কোহলি। তবে আক্ষেপ ছিল, ৫ রানের জন্য পেলেন না ৪৯তম শতক।
এর আগে ধর্মশালায় টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। আগে বল করতে নেমে ভারতের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৪ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নেয় তারা। তবে শুরুর সেই ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে নেয় রবীন্দ্র ও মিচেল জুটি। দু’জনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৫২ বলে ১৫৯ রান। শক্ত ভিত পেয়ে যায় কিউইরা।
এরপর রবীন্দ্র ৭৫ রানে ফিরলেও মিচেল সেঞ্চুরি তুলে থামেন ১৩০ রানে। যদিও বাকি ব্যাটাররা শেষটা করতে পারেননি ভালোভাবে। নয়তো অনায়াসে তিন’ শ পেরনো টার্গেট ছুড়তে পারত দলটি। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় বোলাদেরকেও কৃতিত্ব না দিয়ে উপায় নেই। ডেথ বোলিংয়ে দারুণ ভুগিয়েছেন তারা। আগ্রাসী হতে দেননি কিউইদের। দ্রুত উইকেট তুলে কিউইদের থামিয়ে দিয়েছেন ২৭৩ রানে। ভারতের হয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি।