হায়দরাবাদকে অনায়াসে হারিয়ে ফাইনালে কলকাতা 

  • স্পোর্টস বাংলা ডেস্ক
  • ০৯:৪৮ এএম | ২২ মে, ২০২৪

এই প্রথম গ্রুপপর্বে শীর্ষে থেকে প্লে-অফে পৌঁছায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৪ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছিল তারা, যার মধ্যে গ্রুপপর্বের শেষ দুই ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। গ্রুপপর্বে দাপুটে ক্রিকেট খেললেও ফাইনালের টিকিটের লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারটা কলকাতার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। কেননা প্রতিপক্ষ ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, ব্যাটিং বিধ্বংসীর খেতাব নিয়ে নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে তারা। তবে সেই হায়দরাবাদ কি-না ব্যাটে-বলে দুইয়েই কোনো পাত্তায় পেল না। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫৯ রানে অলআউট হয় প্যাট কামিন্সের দল। ৮ উইকেট হাতে রেখে সেই লক্ষ্যে ১৩ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় কলকাতা। 

৮ উইকেটের এই জয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করা কলকাতাই সবার আগে পৌঁছাল আসরের ফাইনালে। এদিকে ফাইনালে উঠার স্বপ্ন এখানেই অবশ্য শেষ হয়নি হায়দরাবাদের। এলিমিনেটরের রাজস্থান ও বেঙ্গালুরুর মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আরও একবার ফাইনালে টিকিটের লড়াইয়ের সুযোগ পাবে প্যাট কামিন্সের দল। 

আহমেদাবাদের নরেদ্রে মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। সেখানে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। 

ফিল সল্ট জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরে গেলে সুনীল নারাইনের সঙ্গে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আফগান ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এই ওপেনিং জুটিতেও ঝোড়ো শুরু পায় কলকাতা। ৬ ওভার ২ বলে দুই ওপেনার ফিরে গেলেও ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৬৭ রান। এরপরই তো আর কোনো উইকেটই হারাইনি তারা। তৃতীয় উইকেটে ভেঙ্কেটেশ আইয়ারকে নিয়ে ৪৪ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত জুটিতে গড়েন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার এবং দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই ছাড়েন মাঠ। লক্ষ্য তাড়ার শেষ ওভারের ৪ বলে ৩টি ছক্কা ও একটি চার মারেন শ্রেয়াস। এতেই ১৩ ওভার ৪ বলে ২ উইকেটে লক্ষ্য ছাড়িয়ে ১৬৪ রান উঠে কলকাতার স্কোরবোর্ডে। ২৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শ্রেয়াস, এদিকে ভেঙ্কেটেশ করেন ৫১ রান। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্বদেশী মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হায়দরাবাদের হার্ড-হিটার ওপেনার ট্রাভিস হেড। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফিরলেন এই অজি তারকা। এদিকে পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মাও। 

পঞ্চম ওভারের শেষ দুই বলে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকেও সাজঘরের রাস্তা মাপান স্টার্ক। এতে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ না হতেই ৪ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। পরে পঞ্চম উইকেটে চাপ সামলে হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন রাহুল ত্রিপাতি। ক্লাসেন ৩১ রান করে ফিরলেও উইকেটের একপাশ সামলে এগোতে থাকেন রাহুল। তবে দলীয় ১২১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন। তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান। ১২১ রানে ৬ উইকেট থেকে ১২৬ রানে পৌঁছেতেই নেই ৯ উইকেট। শেষে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ৩০ রানের ক্যামিওতে ১৫৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে হায়দরাবাদ। 

কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্টার্ক এবং জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

এদিকে আজ (বুধবার) এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাদের মধ্যকার জয়ী দল আগামী ২৪ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে হায়দরাবাদের বিপক্ষে। 

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :