‘মেসি’ সানডের জবাব ‘ম্যারাডোনা’ মিগেলে

‘মেসি’ সানডের জবাব ‘ম্যারাডোনা’ মিগেলে

ম্যাচের বয়স তখন এক ঘণ্টার একটু বেশি। তখনই বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক গোল মোহামেডানের ইম্যানুয়েল সানডের, পুরো ম্যাচে যিনি ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। গোলটা যেন মনে করিয়ে দিল ২০২২ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির মেক্সিকোর বিপক্ষে করা গোলটাকে! 

সেই এক গোলের জবাব বসুন্ধরা কিংস দিলো তাদের ‘ম্যারাডোনাএস্ক’ একটা গোলে। বক্সের একটু বাইরে বলটা পেলেন মিগেল দামাসেনো। এক এক করে ধুলো দিলেন ৫ মোহামেডান ডিফেন্ডারের চোখে। এরপর বলটা নিয়ে আছড়ে ফেললেন আকাশী সাদাদের জালে। তাতেই ম্যাচে ফিরল ১-১ সমতা। ফেডারেশন কাপের আরও একটা ফাইনাল চলে গেল যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে।

শুরু থেকে খানিকটা নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা মোহামেডান নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করেছিল প্রথমার্ধের শেষ দিক থেকে। সেটা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ধরে রেখেছিল ফেড কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৫২ থেকে ৫৮ এই ছয় মিনিটের ব্যবধানে তিন তিনবার গোলের সুযোগ রুখে দেন বসুন্ধরা কিংস গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ। 

তবে ৬৩ মিনিটে গিয়ে আর পারেননি। বক্সের বাইরে সুযোগ পেয়েছিলেন ইম্যানুয়েল সানডে। দুটো টাচে বলটা নিয়ে বেরিয়ে যান, চলে আসেন বক্সের একটু সামনে। বক্সের বাইরে থেকেই বাঁ পায়ে শট নিয়ে বসেন সানডে। বলটা শ্রাবণের বাঁ পাশ দিয়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে জালে। ডান পাশ থেকে আসা বল, বাঁ পায়ের শট আর বলের জালে আছড়ে পড়া, পুরো দৃশ্যটা আর্জেন্টিনা মেক্সিকো ম্যাচে মেসির ওই গোলের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল যেন।

সে এক গোল মোহামেডানকে একটু একটু করে নিয়ে যাচ্ছিল শিরোপার দিকে। বিষয়টা নিশ্চিতই হয়ে যেতে পারত আরও একটা গোলে। তার সুযোগও মোহামেডান পেয়েছিল। কিন্তু একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে ম্যাচটা আর পকেটে পুরতে পারেনি কোচ আলফাজ আহমেদের দল।

তারই খেসারত দলটা দিল শেষ মুহূর্তে এসে। ম্যাচের বয়স যখন ৮৬ মিনিট, তখন। বক্সের বাইরে থেকে বসুন্ধরা মিডফিল্ডার মিগেল দামাসেনো বল নিয়ে ঢুকে পড়েন মোহামেডান বিপদসীমায়। একাধিক মোহামেডান ডিফেন্ডার এসে তাকে রুখতে চেয়েছেন বটে, কিন্তু শেষমেশ আর তাকে আটকানো হয়নি সাদা-কালোদের। তার ফারপোস্টে করা শট জড়ায় জালে। ম্যাচে ফেরে সমতা, খেলা গড়ায় যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে।

সম্পর্কিত খবর