আশরাফুলের নতুন ফর্মূলা; শান্তকে বিশ্রামে পাঠিয়ে সাকিবকে অধিনায়ক
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেই সিরিজের ট্রফি হাতে নিয়ে উল্লাস করলেও ব্যাট হাতে রান পাননি। সবকটি ম্যাচেই ম্লান ছিল তার ব্যাট। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটে রান নেই লম্বা সময় ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে। ১১ বলে ৩ রান করে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে এসে স্ট্যাম্পড হয়েছেন। দলও হেরেছে ৫ উইকেটে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হিউস্টনের প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
বিডিক্রিকটাইমের সঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় আশরাফুল বলেন, ’ব্যাট হাতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রান পাচ্ছে না। জিম্বাবুয়ে সিরিজও ব্যাটার হিসেবে তার ব্যর্থতার মধ্যেই কেটেছে। বিপিএলেও তেমন রান মিলেনি। বিপিএলের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজে একটা ফিফটি ছিল তার। তারপর রান খরায় পড়েছে সে। সবকিছু মিলে আমার কাছে মনে হয়েছে তার এখন খানিকটা বিশ্রাম প্রয়োজন। সেটা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে নিয়মিত অধিনায়ক বিশ্রামে গেলে অধিনায়কত্ব কে করবেন? কারণ সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদও তো ইনজুরিতে। এক্ষেত্রে আমার পছন্দ সাকিব আল হাসান। এখন টিম ম্যানেজমেন্ট সার্বিক পরিস্থিতি যদি সাকিবকে বোঝাতে পারেন তাহলে হয়তো সে রাজি হতেও পারে। অধিনায়কত্ব সাকিবকে দিয়ে শান্তর জায়গায় তানজিম হাসান তামিমকে একাদশে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। আমি দ্বিতীয় এই ম্যাচে শান্তকে বিশ্রামে রাখতে বলছি, তবে তাকে বিশ্বকাপে কিন্তু সেই থাকছে আমাদের অধিনায়ক। সেই দায়িত্ব শুরুর আগে আগে এই সিরিজে শান্তর একটু বিশ্রাম প্রয়োজন, বাইরে থেকে খেলা দেখা প্রয়োজন।’
লিটন ও সৌম্য সরকারের প্রসঙ্গে আশরাফুল তার মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ^কাপের আগে এই দুজনকে সম্ভবত টিম ম্যানেজমেন্ট সবগুলো ম্যাচেই খেলাতে চাইবে। লিটনের ফর্মে ফেরাটাও এখন ভীষণ জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটও হাসেনি। সৌম্য সরকার শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু ছন্দটা ধরে রাখতে পারেননি।
সিরিজে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে জিততেই হবে।