বিশ্বকাপ শুরুর ছ’দিন আগে কোচ জানলেন তার চাকরি নেই!
খুব বেশি কোনো কারণ দেখায়নি কানাডা ক্রিকেট বোর্ড। কোনো চিঠিপত্রও দেয়নি। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট দলের কোচের কাছে যান। তাকে গিয়ে বলেন, স্যরি তোমার চাকরি আর আমাদের প্রয়োজন নেই। তোমাকে আমরা বিশ্বকাপে কোচ হিসেবে রাখছি না।
বোর্ডের কাছ থেকে চাকরি হারানোর এই তথ্য যখন শুনলেন কানাডার কোচ পুবুদু দেশানায়েক তখন তিনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করছিলেন! পুরো কানাডা দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেইন্ট কিটসে। তবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিজের সুটকেস গোছাতে হোটেলে চলে যান দেশানায়েকে। শ্রীলঙ্কান এই কোচ বর্তমানে কানাডারও নাগরিক। শ্রীলঙ্কা ও কানাডা উভয় দেশের হয়ে তিনি আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটও খেলেছেন। কানাডার কোচ হিসেবে তার সাফল্যও বেশ। তার কোচিংয়েই কানাডা ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলে পুনরায় ওয়ানডে স্ট্যাটাস ফিরে পেয়েছে। সিডব্লুসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে প্রমোশন পেয়ে সিডব্লুসি লিগ-২ তে খেলছে। এই প্রমোশন পেয়েছে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে থেকেই।
মূলত দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ও দূরত্বের জন্য কানাডা ক্রিকেট বোর্ড তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার অশান্তি ও দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছিলো বলে খবর বের হয়। গত মাসে কানাডার ক্রিকেটের নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন করা হয়। সেই নির্বাচক কমিটি থেকে কোচকে বাদ দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচক কমিটি দল থেকে নিখিল দত্ত ও জেরেমি গর্ডনকে বাদ দেয়। এনিয়ে সমালোচনা উঠলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে নির্বাচক কমিটি।
এরই মধ্যে কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দূরত্ব এমন পর্যায় পৌঁছে সেটা সমাধানের পথ হারায়। খেলোয়াড়রা কোচের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের মধ্যে চিঠিপত্র চালাচালি করেন। দল থেকে কয়েকজন খেলোয়াড় নাম প্রত্যাহারের হুমকিও দেন। সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে কানাডা ক্রিকেট বোর্ড কোচকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরদীপ ক্লেয়ার কোচকে গিয়ে জানিয়ে দেন, ধন্যবাদ আপনার সেবা আর আমাদের প্রয়োজন নেই।
নতুন কোচ কে হবেন- সেই নাম এখনো কানাডা ক্রিকেট বোর্ড ঠিক করেনি।
টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামছে কানাডা। আগামী ১ মে ডালাসে হবে ম্যাচটি। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। যে দল সদ্য বাংলাদেশকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হারিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী মেজাজে রয়েছে।