নীলফামারীর পর ফরিদপুরে আর্চারি, দাবি স্থায়ী প্রশিক্ষণ ভেন্যুর
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে 'এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই' স্লোগানে তারুণ্যের উৎসবে শামিল হয়েছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। নীলফামারীর পর এবার ফরিদপুরেও তারুণ্যের উৎসবে আর্চারির নানা আয়োজন শেষ হয়। ফরিদপুর জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের আয়োজনে ও ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় দিন ব্যাপী হয়েছে নানা অনুষ্ঠান।
সকালে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের শুরু হয়। র্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শুরু হয়ে স্টেডিয়াম মাঠে শেষ হয়। এরপর হয়েছে পিঠা উৎসব। জেলা স্টেডিয়ামে আর্চারি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় মোট ২৮ জন আর্চার অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৩ জন ছেলে ও ১৫ জন মেয়ে। ছেলেদের সিনিয়র বিভাগে সোনা জিতেছেন আব্দুর রহমান আবীর। মেয়েদের সিনিয়র ও জুনিয়র দুই বিভাগেই প্রতিযোগিতা হয়েছে। সিনিয়র বিভাগে মেহজাবিন তুবা ও জুনিয়র বিভাগে রুমা আক্তার সোনা জিতেন।
ফরিদপুরে আর্চারির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। আর্চারি নিয়ে ছেলে মেয়েদের মাঝে আগ্রহ থাকলেও ফরিদপুরে নেই নির্দিষ্ট কোন প্রশিক্ষণ ভেন্যু। তাই অনুশীলনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয়। তাই প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া আর্চাররা স্থায়ী ভেন্যুর দাবি জানিয়েছেন।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল বলেছেন প্রশিক্ষণ ভেন্যু চূড়ান্ত হলে আনুষঙ্গিক সব বিষয়ের ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।
তারুণ্যের উৎসবকে ধারণ করে দেশের ৯টি ভেন্যুতে এই উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। যেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ফারুক ঢালী ও মাসুদুর রহমান চুন্নু।