অদ্ভুত যুক্তিতে বাংলাদেশের ম্যাচ টিকিট বিক্রির হিড়িক
‘স্ত্রীর বিড়ালের জন্মদিন’, ‘জ্যোতিষী বলছেন দিনটা শুভ নয়’... কারণ কত প্রকারের হতে পারে, তারই দেখা মিলছে এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক গ্রুপগুলোয়। বাংলাদেশের ম্যাচ দেখবেন বলে বিশ্বকাপের টিকিট কেটে রেখেছিলেন। এখন সেগুলোই বেচে দিতে চাইছেন অনেকে। কেন? দলের সম্ভাব্য ভরাডুবি কেইবা মাঠে বসে দেখতে চায়?
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এবারই প্রথম বসছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। সে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশী ভক্তরাও স্বপ্ন বুনে রেখেছিলেন বাড়ির আঙিনায় দলকে সমর্থন যোগাবেন বলে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় এক সপ্তাহ আগেই সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে, সে উৎসাহে ভাটা পড়েছে দলের পারফর্ম্যান্সে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ যে সিরিজ হেরে গেছে। সেই দল নিয়ে বিশ্বকাপে কী করে কিছু আশা করা যায়?
বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র সিরিজটা এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আরও একটা ম্যাচ বাকি। সে ম্যাচটা হেরে গেলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পুড়তে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।
এমন আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা একটা দল নিয়ে বিশ্বকাপে দলের পক্ষে বাজি ধরতে চাইছেন না অনেকেই। তাই তো আমেরিকা প্রবাসীদের অনেকেই যারা বিশ্বকাপের বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট কিনে রেখেছিলেন, তারাই সব টিকিট ছেড়ে দিতে চাইছেন।
ট্যাক্সসহ ২১৭ ডলারে কেনা টিকিট সমান দামেই কেউ কেউ ছেড়ে দিতে চাইছেন। তবে সে দামও অনেকে চাইছেন না, চাইছেন অর্ধেক; তাও ক্রেতা পাচ্ছেন না! কেউ কেউ টিকিট ফ্রিতে দিলেও নেবেন না, তা মুখের ওপর বলে দিচ্ছেন। এমন সব চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে নিউইয়র্ক প্রবাসী শেখ মিনহাজ হোসাইনের ফেসবুক পোস্টে। তিনি জুড়ে দিয়েছেন স্ক্রিনশটও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ২ জুন থেকে। যদিও বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে তারও এক সপ্তাহ পর, ৮ জুন। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বাংলাদেশ খেলবে সেদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এর এক দিন পর ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তার দুই দিন পর ১৩ জুন বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আগামী ১৭ জুন। নেপালের বিপক্ষে সেই ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।