আমার বিরুদ্ধে আনা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগগুলোর ভিত্তি পায়নি ফিফা: মুর্শেদি
এক বছর পর আবারও বাংলাদেশ ফুটবলে খড়গ নেমে এসেছে ফিফার। আবু নাইম সোহাগের নিষেধাজ্ঞা বেড়েছে, সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছেন আরও দুই কর্মকর্তাও। তবে এতসব কিছুর সঙ্গে শাস্তি নেমে এসেছে বাফুফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদির ওপরও।
সালামের ওপর শাস্তিটা অবশ্য নিষেধাজ্ঞার নয়। তার ওপর নেমে এসেছে ১০০০০ সুইস ফ্রাঁ জরিমানার নির্দেশ।
তবে আজ তিনি এক বিবৃতিতে আত্মপক্ষই সমর্থন করেছেন। জানিয়েছেন ফিফা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। তার বিরুদ্ধে ফিফার অভিযোগ ছিল তিনটি, ফিফার ১৪, ১৬ ও ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের। অভিযোগ তিনটি যথাক্রমে সাধারন দায়িত্ব পালনে অবহেলা, আনুগত্য লঙ্ঘন ও জালিয়াতি ৎ মিথ্যাচারের।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্স শুনানিতে সালাম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান। সেখানে নিজের যুক্তি স্থাপন করেন। তারই ফলশ্রুতিতে তিনটি অভিযোগের দুটি খারিজ করে ফিফা, বিবৃতিতে জানান সালাম।
সেখানে তিনি আরও জানান, তাকে করা জরিমানা মূলত তার পদের কারণে। তিনি বলেন, ‘ফিফা এথিকস কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক অধিকতর তদন্তের পর আমার বিপক্ষে আনা মোট তিনটির মধ্যে অনৈতিক কার্যক্রম ও জালিয়াতি বা মিথ্যাচারের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের কোনো ভিত্তি পায়নি ফিফা। ক্রয় প্রক্রিয়ায় চারজন স্বাক্ষরকারীর মধ্যে দুইজনকে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দীন সরাসরি জড়িত না থাকায় তাকে খারিজ করা হয়েছে। তবে যেহেতু আমি ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান, সে কারণেই আমাকে গুণতে হচ্ছে ন্যুনতম আর্থিক জরিমানা।’