বাংলাদেশকে ধসিয়ে আলীর চোখ বিশ্বকাপে
আয়োজক হিসেবে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেই দলটির বিপক্ষেই কিনা বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বসেছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে দশ ধাপ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে হারিয়ে বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস। এখন দলটির চাওয়া নিয়মিত বড় দলের বিপক্ষে খেলা। তবে তার আগে আসন্ন বিশ্বকাপেই নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে চায় দলটি। ম্যাচ জয়ের নায়ক আলী খান জানিয়েছেন এমন কথা।
আইসিসির সহযোগী দেশ হওয়ায় খুব একটা বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পায় না যুক্তরাষ্ট্র। আর খেললেও সেখানে জয় মেলে না। পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে এতদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র জয় ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এবার দলটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই তাই বেড়ে গেছে প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশার কথাই ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন আলী খান।
বলেন, ‘এই জয় বিশ্বকে দেখায় যে আমাদের সুযোগ দেওয়া হলে আমরা কী করতে পারি। আপনি যদি এই সহযোগী স্তরে বা নিম্ন স্তরে খেলা চালিয়ে যান তবে আপনি সেখানেই থাকবেন। তবে যদি বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ থাকে, তাহলে শীর্ষস্থানীয় ১০টি দলের একটিকে বিপর্যস্ত করার সুযোগ রয়েছে। এটি যার একটি পরিষ্কার চিত্র। আমি মনে করি, অবশ্যই সহযোগী ক্রিকেটকে পূর্ণ সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও সুযোগ দেওয়া উচিত যা আমাদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে সাহায্য করবে।’
জয়ের জন্য কতটা ক্ষুধার্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্র সেটা জানিয়ে আলী খান বলেন, ‘আমরা ক্ষুধার্ত, আমরা ভীষণ ক্ষুধার্ত। যারা আমাদের বিপক্ষে খেলবে আমারা তাদেরকেই হারানোর চেষ্টা করব। আমি মনে করি আমাদের দলটি সত্যিই ভারসাম্যপূর্ণ। তবে এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বকাপ নিয়েই বেশি রোমাঞ্চিত। আমি নিশ্চিত ইউএসএ দল কাউকে বিপর্যস্ত করার জন্য সেখানে থাকবে।’