রাজস্থানকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে হায়দরাবাদ 

রাজস্থানকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে হায়দরাবাদ 

ফাইনালের দ্বিতীয় ও শেষ টিকিটের লড়াইয়ের দ্বিতীয় সুযোগটি এবার আর হাতছাড়া করলো না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে একপেশেভাবে হেরে যায় তারা। গ্রুপপর্বে ব্যাটিং বিধ্বংসী দলের তকমা পাওয়া দলটি প্লে-অফের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও ব্যাট হাতে ছিল না তেমন আগ্রাসী। তবে স্পিনাররা দেখাল তাদের ভেল্কী। শাহবাজ-অভিষেকের স্পিন ঘূর্ণিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়ে আইপিএলের ১৭তম আসরের ফাইনালে পৌঁছেছে প্যাট কামিন্সের দলটি। 

আইপিএলের এই রান বন্যার আসরে হায়দরাবাদের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যটা তর্কসাপেক্ষে খুব একটা কঠিন ছিল না। তবে চেন্নাইয়ের চিপকের ধীরগতির উইকেটে রাজস্থান থামল ১৩৯ রানেই। এতে আগামীকাল আসরের শেষ ম্যাচ, ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। ফাইনাল ম্যাচটিও হবে চেন্নাইয়ে। দল দুটি গ্রুপপর্ব শেষ করেছিল শীর্ষ দুইয়ে থেকে। এবার তারাই মুখোমুখি ফাইনালেও। 

গতকালের ‘অলিখিত’ সেমি-ফাইনালে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। 

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি রাজস্থান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে ওপেনার কোহলার-ক্যাডমোরের উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে ৫১ রান জমা করে তারা। বেশ ছন্দেই এগোচ্ছিলেন আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। তবে দলীয় ৬৫ রানের মাথায় তাকে ফেরান শাহবাজ। এই বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ৪২ রান। এদিকে পরের ওভারেই অধিনায়ক স্যামসনকে সাজঘরের রাস্তা মাপান আরেক স্পিনার অভিষেক শর্মা। 

পরে পিচে থাকা ধ্রুব জুরেল ও রিয়ান পরাগকে নিয়ে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন বোনার আগেই ফের ধাক্কা খায় দলটি। দ্বাদশ ওভারে চার বলের মধ্যে রিয়ান ও অশ্বিনের উইকেট তুলে নেন শাহবাজ। এই বাঁহাতি স্পিনারের নৈপুণ্যে সেখানেই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় রাজস্থান। তাদের স্কোরবোর্ডে তখন ১১ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেটে ৭৯ রান। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত জুরেল অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসে কিছুটা লড়াই চালালেও তা হয়নি যথেষ্ট। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে রাজস্থানে সংগ্রহ থামে ১৩৯ রানে।

৪ ওভারে স্রেফ ২৩ রান খরচে উইকেট তিনটি তুলেছেন শাহবাজ। এতে জিতেছেন ম্যাচসেরার খেতাবও। এছাড়াও অভিষেক নেন দুই উইকেট। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঝোড়ো পেলেও প্রথম ওভারের শেষ বলেই সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ৫৭ রানে পৌঁছাতেই আরও দুটি উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। তাদের টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার অভিষেক, ত্রিপাতি, মার্করামকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। ত্রিপাতি ১৫ বলে ৩৭ রানের দারুণ এক ক্যামিও খেললেও এদিন আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ মার্করাম (১)।

১২০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এতে সংগ্রহ আরও কম হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল। তবে হেনরিখ ক্লাসেনের দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ এবং শেষ দিকে শাহবাজের ১৮ রানে চড়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে পৌঁছে যায় তারা। সেখানে রাজস্থানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেনে বোল্ট ও আভেশ। 

আইপিএলের ফাইনালে ওঠা দল দুটি তৈরি করেছে মজার এক পরিসংখ্যান। প্লে-অফে বেঙ্গালুরুর পর এবার রাজস্থানের বিদায়ে আইপিএলের ফাইনালে ম্যাচে দুই দলেই নেই ভারতের সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের কোনো ক্রিকেটার। কেবল কলকাতার রিংকু সিং আছেন, তাও ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে। 

 

 

সম্পর্কিত খবর