পেলে না থেকেও আছেন
কারো কাছে সর্বকালের সেরা। কারো অন্যতম সেরা। কারো কাছে সেরাদের সেরা। দুনিয়া জুড়ে খ্যাতি দেখে গেছেন, দেখে গেছেন জনপ্রিয়তা কাকে বলে। পুরো বিশ্বের কাছে মহানায়ক কীভাবে হওয়া যায় কিংবা মহানায়ক দেখতে কেমনে? সেই অনুভূতি পেয়েছেন, দিয়েছেন।
পেলে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছেন মাস দশেক আগে৷ তবে তার মায়া এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ফুটবল ভক্তরা। শুধুই কী ভক্তরা? কিংবদন্তী থেকে শুরু করে সাধারণ মানের - সব শ্রেণীর ফুটবলারই এখনো তাকে স্মরণ করেন শ্রদ্ধা ভরে।
ফুটবল ভক্তরা এখনো তার নাম জপে। আখ্যায়িত করে সর্বকালের সেরাদের সেরাতেই। পৃথিবীতে গুটিকয়েক অতিমানব আছেন যারা নিজেদের কাছে ছাপ এমন ভাবেই রেখেও, যেন তারা মরেও অমর। ওই যে কথায় আছে না, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।
পেলেও ওমনি একজন। নামের পাশে রেকর্ড তিন বিশ্বকাপ আর গিনেস রেকর্ডে নাম লেখানো প্রায় ১২৭৯ গোল। পরিসংখ্যান দিয়েও একজন পেলেকে সুনিপুণ ভাবে বর্ণনা করলেও বোধ করি বাড়াবাড়ি হবে না। চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়, পুরো ফুটবল দুনিয়াকে সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাদের খেলা দেখতে যেমন যুদ্ধ বিরতি হয়েছিলো। তেমনি তার প্রয়াণেও যেন গোটা বিশ্বও একটা বিরতি নিয়েছিলো।
২৩ অক্টোবর ২০২৩, পেলের মৃত্যুর পর প্রথম জন্মদিন। এবার আর পেলে নিজে উদযাপন করছেন না৷ তবে উদযাপন করছে তার দেশ, তার ভক্তরা। স্মরণ করা হচ্ছে শ্রদ্ধাভরে। সবশেষে বলতেই হয় পেলে না থেকেও আছেন, কখনো রোনালদোর মতো বাইসাইকেল কিকের গোলে, কখনো মেসির মতো উদযাপনে কিংবা কারিকুরিতে। পেলেকে ৮৩তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা...