ফাইনালে কীভাবে এমন অদম্য হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া?
আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল মানেই যেনো অস্ট্রেলিয়ানদের চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলে, খুব সহজভাবেই জয় নিয়ে ঘরে ফেরা। ছয়বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুইবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি৷ একবার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। ডজনখানেক শিরোপা-ই সাক্ষ্য দেয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল মানেই অজিরা অপ্রতিরোধ্য। সবচাইতে সফলও।
২০২৩ সালেও অজিরা জিতেছে দুইটা আইসিসি টুর্নামেন্টের শিরোপা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়। দুটোতেই দলের লিডারশিপের বাটন ছিলো প্যাট কামিন্সের হাতে। ক্যাপ্টেন কামিন্সের বুদ্ধিদীপ্ততায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদও উঠেছে আইপিএলের ফাইনালে। এবার অজি ক্যাপ্টেন নিজেই উন্মোচন করলেন ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ানদের ভালো করার রহস্য।
‘আইসিসি শিরোপা জয়ে ভাগ্যের ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফাইনালের চাপ কমাতে আমরা অনেক সময়ই ব্যয় করি। কিন্তু একই সময়ে আমরা এটাও মনে করি, পেছনে তাকিয়ে থাকলে জীবনের অনেকটা সময় চলে যাবে। তাই ফাইনালে আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেটা নিশ্চিত করি। এক ফাইনালের আত্মবিশ্বাস পরের ফাইনালে টেনে নিয়েও আমরা সাফল্য পেয়েছি।’
সবার ওপরে কামিন্স রাখলেন ভাগ্য-আত্মবিশ্বাস-অতীত অভিজ্ঞতা এবং চাপমুক্ত থাকাকে। গেলো বছর দুই শিরোপা জিতিয়ে প্যাট কামিন্স বনে গেছেন ইতিহাসের প্রথম এবং একমাত্র অধিনায়ক যিনি জিতেছেন এক বছরে দুইটা আইসিসি শিরোপা। কোন শিরোপাকে এগিয়ে রাখছেন ডানহাতি এই পেসার?
‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমাদের অন্য সব দলকে হারাতে হয়েছে। আমরা ভারতের কন্ডিশনে খেলেছি, যেটা আমাদের কাছে ভিনদেশি কন্ডিশন। চোট ও বাজে ফর্মের মোকাবিলাও আমাদের করতে হয়েছে। এ সবকিছুর মুখোমুখি হয়েই আমরা ফাইনালে উঠেছি। আর এই ব্যাপারটাই সন্তুষ্টি এনে দেয়। কারণ, কাজটা সহজ নয়।’
শুধু শিরোপাই জেতেননি। বলেছিলেন স্টেডিয়ামের এক লাখ ৩০ হাজার ভক্তকে চুপ করিয়ে দিবেন। সেটা করেও দেখিয়েছিলেন কামিন্স। শুধু ক্যাপ্টেন্সিই নয়, বল হাতেও মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন দুটো শিরোপা জয়েই।