সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় বাংলাদেশের

সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় বাংলাদেশের

একাই ছয় উইকেট তুলে জয়ের কাজটা অর্ধেক সেরে রেখেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এবার বাকি কাজ সারলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। টপ-অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে এই দুই বাঁহাতি ব্যাটারের নৈপুণ্যে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় সফরকারীরা। এতে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ দুটিই ছিল মিরপুরে। এদিকে এটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৫তম ১০ উইকেটের জয়।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে এদিনও টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সফরকারী দলটি বল খেলেছে স্রেফ ৭০টি। এবং হারায়নি একটি উইকেটও। শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট করত থাকা তামিম ও সৌম্য পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান তোলেন ৪৮। পরে রানের গতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে সবশেষ ৩৪ বলে ৬০ রান তোলে তামিম-সৌম্য জুটি।

৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন তামিম। এদিকে সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৪৩ রান করে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আদ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৪ ওভার ৫ বলে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪৬ রান তুলে ফেলে তারা। তবে ব্যাট হাতে উড়তে থাকা গুসকে এরপরের বলেই ফেরান সাকিব আল হাসান। ১৫ বলে গুস করেন ২৭ রান পরের ওভারে আরেক ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে ফেরান মুস্তাফিজ, নেন উইকেট মেইডেন।

পাওয়ার প্লে শেষে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরবোর্ডে ছিল ২ উইকেটে ৪৬ রান। এরপর মুস্তাফিজের পেস তোপের সামনে ইনিংসের বাকি অংশে আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। বাকি ১৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৫৮ রান যোগ করতে পেরেছে স্বাগতিকরা, হারিয়েছে সাত উইকেট।

সেই ইনিংসে বোলিংয়ে দুটি রেকর্ডও গড়ে বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাচসেরার খেতাব পাওয়া মুস্তাফিজ ৪ ওভার ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বোলার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেট পেলেন। এদিকে ৪ ওভারে ১ উইকেট পাওয়া রিশাদ হোসেন দিয়েছেন স্রেফ ৭ রান, যা এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলিং।

সম্পর্কিত খবর