কলকাতা-হায়দরাবাদের ফাইনালে ভাগ্য গড়ে দেবে যা
কলকাতা নাইট রাইডার্স আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ… দুটো দলই বাংলাদেশের খুব কাছের। প্রথম দলটায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, এরপর সাকিব আল হাসান তাদের প্রথম আইপিএল জেতাতে রেখেছেন প্রত্যক্ষ ভূমিকা; আর অন্য দলটা?
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আইপিএলেই করেছিলেন বাজিমাত। প্রথম বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক মৌসুমে জিতেছিলেন টুর্নামেন্টসেরা উদীয়মানের পুরস্কার, দলকে জিতিয়েছিলেন আইপিএল।
সেই দুটো দলই এবার খেলছে আইপিএলের ফাইনালে। আজ রোববার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এবারের আসরের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দুই দল।
এবারের আসরে দুই দলই ছিল সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। লিগ পর্ব শেষে দুই দল ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। সেই দুই দলই আজ মুখোমুখি।
ফাইনালের আগে এক দিক থেকে এগিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবারের আসরে দু’বার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। দুবারই কলকাতা হেসেছে শেষ হাসি। লিগ ম্যাচে ৪ রানে জিতেছিল কলকাতা, আর শেষ বার প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
তবে দলের শক্তির জায়গা বিবেচনায় রাখলে দুই দলই চলে আসবে সমতায়। কীভাবে? এবারের আইপিএলে দুই দলই তাদের ওপেনারদের ব্যবহার করেছে বেশ ভালোভাবে। অভিষেক শর্মা আর ট্র্যাভিস হেড মিলে তো প্রতিদিন রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যেই নামতেন যেন, পাওয়ারপ্লেতে ১২৫ রানের রেকর্ডটা দুজন মিলে গড়েছেন এই আইপিএলে। ওদিকে কলকাতাও কি কম যায়? শেষ দুই আইপিএলে যেখানে নিদেনপক্ষে ছয়টা ভিন্ন ভিন্ন ওপেনিং জুটি দেখা গেছে কলকাতার, সেখানে এবারের আসরে তা বদলেছে মোটে একবার। তাও ফিল সল্ট চলে যাওয়ার পরে, সেখানে ধুঁকেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ! ওপেনিং জুটিতে স্থিতির দেখা পাইয়ে দিয়েছেন সুনীল নারাইনরা।
তবে এই একটা জায়গাই দুই দলের দুর্বলতা হয়ে উঠতে পারে আজ। কলকাতা তো ফিল সল্টকে পাচ্ছেই না, সেখানে খেলাতে হচ্ছে গুরবাজকে। কোয়ালিফায়ারে দুজনের ওপেনিং জুটে এনে দিতে পেরেছিল মোটে ৪৫ রান। আজও তাই কলকাতা খানিকটা ভাবনায় থাকবে এই জায়গাটা নিয়ে।
ওদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একই জুটি নিয়ে নামবে আজ। কিন্তু সমস্যাটা তাদের অন্য জায়গায়। শেষ তিন ইনিংসে ট্র্যাভিস হেড রান পাননি। দুই দলের সবশেষ দেখায় বোল্ড হয়েছেন কলকাতার মিচেল স্টার্কের ইয়র্কারে। আজও নিশ্চয়ই সে টোটকাতেই তাকে বিদায় করতে চাইবেন স্টার্ক। ফলে শক্তির জায়গা ওপেনিং নিয়ে একেবারে নির্ভার নয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদও।
তবে দুর্বলতা যেমনই হোক, আজকের ফাইনালের ভাগ্যটা যে দুই ওপেনিং জুটির একটাতে গড়া হয়ে যাবে না, তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না মোটেও।