বিশ্বকাপে বড় স্বপ্নই দেখালেন হৃদয়

বিশ্বকাপে বড় স্বপ্নই দেখালেন হৃদয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত হওয়া ৮ আসরের ৮টিতেই খেলেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ম্যাচের সংখ্যাটা ৩৮। যেখানে ২৮ হারের বিপরীতের জয়ের সংখ্যাটা মাত্র ৯। বিশ্বকাপের ফাইনাল দূরে থাক কখনোই সেমিফাইনালেও জায়গা হয়নি বাংলাদেশের। কোনো রকমে গ্রুপপর্ব পেরোনোকেই নিজেদের সাফল্য ভেবে এসেছে বাংলাদেশ দল।

সেই দলটি আরও একটি বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে। আর বিশ্বকাপের আগের সিরিজে বাংলাদেশ দল হেরে বসেছে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। এমন দল নিয়ে তাই বড় স্বপ্ন দেখাটা রীতিমতো অন্যায়ই বলা যায়। বাংলাদেশ দল নিয়ে যখন সমর্থকদের প্রত্যাশাটা নিন্মগামী। তখন বিসিবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশার বেলুন ফুলিয়েছেন দলের অন্যতম পারফর্মার তাওহিদ হৃদয়। তার প্রাথমিক লক্ষ্যটা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। তবে স্বপ্নটা বিশ্বকাপ জয়ের।

বিসিবিকে দেওয়া গ্রিন রেড স্টোরিতে হৃদয় জানিয়েছেন, কিছুই অসম্ভব নয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই দল যেন ভালো করে। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আমি চাই আমার দল কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’

বাংলাদেশের হয়ে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আছে হৃদয়ের। সেই দলেও গুরুপ্তপূর্ণ সদস্য ছিলেন হৃদয়। বর্তমান দলেও তাই। পরীক্ষিত পারফর্মারদের মধ্যে তিনি একজন। যার কাছে বাংলাদেশি সমর্থকদের প্রত্যাশাটা খানিক বেশিই বলা চলে। হৃদয় নিজেও জানেন সেটা। তবে বড় স্বপ্নই দেখছেন তিনি।

বলেন, ‘চোখ খুলেও এখনো অনুভব করি যে কী হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে (অনূর্ধ্ব-১৯)। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে ভালো করা, কাপ নেওয়া, ভালো করা না, কাপ নিতে চাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’

বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যখন জিতব, তখন আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়…আমরা যদি দু-একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস…আমাদের যে নতুন প্রজন্ম আসবে, তাদেরও ওইভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনেকেই এবার খেলবেন বিশ্বকাপ। তাদের সঙ্গে আছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা ও তারুণের মিশলে এক দল। তবে হৃদয়ের আস্থা আছে তার বয়সভিত্তিক দলের সতীর্থদের সামর্থ্যে, ‘অনূর্ধ্ব-১৯–এ যারা ছিল, শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, এই দলে যারা আছে, মনে হয় যে প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই খুবই আক্রমণাত্মক। তামিম, সাকিব, রিশাদ…যারাই আছে, আমার মনে হয় ওরা এমন খেলোয়াড়, যেকোনো দিন একজন-দুজন খেলার চেহারাটা পরিবর্তন করে দিতে পারে। এদের মধ্যে ওই সামর্থ্য আছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা জেদ আছে। আমরা যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখানেও তেমন কিছু করব।’

সম্পর্কিত খবর